শেরপুর বলে তরুণীকে গভীর রাতে নামিয়ে দিল সীতাকুণ্ডে

তরুণী যাচ্ছিলেন চট্টগ্রাম থেকে শেরপুরে। বাসে উঠে ৫০০ টাকা দিয়ে শেরপুরের টিকিটও কাটেন। তবে ওই বাস থেকে তাঁকে গতকাল শুক্রবার রাত একটায় শেরপুর এসে গেছে বলে সীতাকুণ্ড নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে।

ওই তরুণীর নাম জেসমিন আকতার (১৮)। তিনি শেরপুর সদর থানার অবয়পুরগ্রামের বাসিন্দা আবদুস সাত্তারের মেয়ে।

সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক সুমন বনিক প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাত একটার দিকে জেসমিনকে বাস থেকে নামিয়ে দিয়ে গাড়িটি চলে যায়। গাড়ি থেকে নেমে স্টেশনের একটি দোকানে গিয়ে জেসমিন জানতে চায় এটা জামালপুরের রাস্তার মোড় কিনা। জেসমিনের কথা শুনে ওই দোকানদার বুঝতে পারেন গাড়ির লোকজন মেয়েটির সঙ্গে প্রতারণা করেছে। পরে ওই দোকানদার পরিদর্শক সুমনকে ফোন দেন। সুমন পুলিশ পাঠিয়ে জেসমিনকে উদ্ধার করেন।

পুলিশ পরিদর্শক সুমন আরও বলেন, বিষয়টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলওয়ার হোসেনকে জানানোর পরে তিনি টিকিট কিনে ওই তরুণীকে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। আজ রাতে জেসমিন শেরপুর যাবেন। বর্তমানে তরুণী থানা হেফাজতে আছেন।

প্রতারণার শিকার জেসমিন আকতার প্রথম আলোকে বলেন, ২০ দিন আগে তিনি চট্টগ্রাম নগরের অলঙ্কার মোড় এলাকায় তাঁর বোনের বাসায় বেড়াতে যান। গতকাল শুক্রবার রাতে জেসমিন শেরপুরের উদ্দেশে রওনা দেন। গাড়িতে ওঠার পরে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। এ সময় জেসমিন ৫০০ টাকার একটি নোট ভাড়া হিসেবে দেন গাড়ি লোকদের। জেসমিনের দাবি, গাড়ির দায়িত্বে থাকা লোকেরা তাঁর কাছে থেকে ভাড়া বাবদ আর কোনো টাকা দাবি করেনি। পরে শেরপুর এসে গেছে বলে ঘুম ভাঙিয়ে তাঁকে সীতাকুণ্ড নামিয়ে দেওয়া হয়।

জেসমিন আরও বলেন, সীতাকুণ্ড নেমে তিনি কিছুই চিনতে পারছিলেন না। পরে দোকানির সাহায্য চান। ওই দোকানি পুলিশে খবর দেন। পুলিশের সঙ্গে তাঁর নানার কথা হয়েছে বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে পুলিশ বলছে, চট্টগ্রাম থেকে শেরপুরের নিয়মিত ভাড়া ৯০০ টাকা। এখন ঈদের সময় ভাড়া আরও বেশি। তাদের ধারণা, জেসমিনের থেকে কম ভাড়া নেওয়ার কারণে গাড়ির দায়িত্বে থাকা লোকেরা তাঁর সঙ্গে এমন আচরণ করেছেন।