বিএনপি বিলুপ্তির পথে: তোফায়েল

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ । প্রথম আলাে ফাইল ছবি
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ । প্রথম আলাে ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, এ দেশে বিএনপি ক্ষমতায় ছিল, লুটপাট ছাড়া কিছু করেনি। আজ বিএনপির করুণ অবস্থা! বিএনপি বিলুপ্তির পথে এগিয়ে চলেছে!

আজ রোববার বেলা ১১টায় ভোলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের ভেলুমিয়া বাজারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত ঈদবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তোফায়েল আহমেদ এমন মন্তব্য করেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বিএনপিতে অভ্যন্তরীণ কোন্দল। এক নেতা আরেক নেতার বিরুদ্ধে বলছে। ছয়জন এমপি হয়েছে, পাঁচজন শপথ নিয়েছে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শপথ নেননি। এ অবস্থার মধ্যে কেন শপথ নিল, কেন নিল না। তাঁদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব আছে।’

সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনের সময় আমার বিরুদ্ধে বিএনপি থেকে যে আলমগীর হাজী (গোলাম নবী আলমগীর, ভোলা জেলা বিএনপির সভাপতি) দাঁড়িয়েছিলেন, তিনি তো এই ভেলুমিয়া ইউনিয়নে ভোট চাইতেই আসেনি। কারণ, তাঁরা প্রস্তুত ছিলেন না। বিএনপি একটা নির্বাচনী এলাকায় ৪-৫ জনকে মনোনয়ন দিয়েছে। যে টাকা বেশি দিয়েছে, তার নমিনেশন নিশ্চিত হয়েছে। সুতরাং, এ দল টিকতে পারে না।’

ভোলা-১ আসনের সাংসদ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তোফায়েল বলেন, ‘আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। নিজেদের মধ্যে যেন ভুল বোঝাবুঝি না হয়। আমি কোনো অন্যায়কে সহ্য করব না।’

ভেলুমিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সালাম মাস্টারের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মমিন, প্যানেল চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম গোলদার, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইউনুস, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাইনুল ইসলাম প্রমুখ। ভোলার ১৩ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার অসহায়–দরিদ্র লোকজনের মধ্যে তিন দিনে (রবি থেকে মঙ্গলবার) সাংসদ তোফায়েল আহমেদ প্রায় ৪০ হাজার ঈদবস্ত্র বিতরণ করেছেন।

সাংসদ তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমাদের দেশ দারিদ্র্যমুক্ত হতে চলেছে। বিএনপি নামে একটা দল আছে, আরও অনেক দল আছে, কেউ আপনাকে সাহায্যের জন্য আসে না, তারা আসে ভোটের সময়। আওয়ামী লীগ ভোটকে সামনে রেখে রাজনীতি করে না। আওয়ামী লীগ গরিবের জন্য রাজনীতি করে।’

সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভেলুমিয়া ইউনিয়নের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এমন একদিন ছিল নৌকায় এক দিন লাগত ভোলা যেতে। এখন গাড়িতে বাড়ি যেতে পারেন, ১০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল করেছি। পাশের ইউনিয়ন ভেদুরিয়ায় টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট হচ্ছে। গাড়ি চরে বাড়ি যাবেন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পাবেন, কেউ স্বপ্নেও ভাবেননি। আমরা করেছি। গাজিরচরের মতো দুর্গম চরেও বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে।’

তোফায়েল আহমেদ ঘোষণা করেন, ‘ভেলুমিয়ায় একটা পর্যটনকেন্দ্র হবে। ভেদুরিয়াতে গ্যাস পেয়েছি। ভোলা গ্যাসভিত্তিক কলকারখানা গড়ে উঠছে। নদীর তীরে ব্লক বাঁধ দেওয়া হচ্ছে। ভোলাকে বাংলাদেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ জেলায় রূপান্তরিত করার জন্য কাজ করে চলেছি।’