ফেসবুকে ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি ছড়ানোর হুমকি, গ্রেপ্তার ২

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে এক কলেজছাত্রীর আপত্তিকর ছবি ছড়ানোর হুমকি দেওয়ায় দুই যুবকের নামে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে মামলা হয়েছে। শনিবার দুপুরে মামলার পরে রাত ১০টায় ওই দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রোববার তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার দুই যুবকের নাম—আবিদ হাসান ওরফে নোমান (২২) ও মো. সোলাইমান। আবিদের বাড়ি বগুড়ার গণ্ডগ্রামে। সোলাইমানের বাড়ি সিরাজগঞ্জে। তাঁদের বিরুদ্ধে ওই কলেজছাত্রী বাদী হয়ে বগুড়ার শাহবাজপুর থানায় মামলা করেন।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, এক কলেজছাত্রীর সঙ্গে আবিদ হাসানের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে গত বছরের ১০ অক্টোবর ওই কলেজছাত্রীর বাড়ি গিয়ে তাঁর কিছু আপত্তিকর ছবি ধারণ করেন আবিদ। পরে আবিদকে ওই ছাত্রী বিয়ের জন্য চাপ দেন। কিন্তু বিয়ে নিয়ে তাঁর সঙ্গে টালবাহানা শুরু করেন আবিদ। একই সঙ্গে বিয়ের চাপ দিলে ওই ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেবেন বলে হুমকি দেন আবিদ। গত ২৬ মে ঈদের কেনাকাটা শেষে বগুড়া থেকে বাড়ি ফেরার পথে ওই ছাত্রীর রিকশা থামিয়ে আবিদ ফের হুমকি দেন। ওই দিন রাতে এক ফেসবুক বার্তায় ছাত্রীটি একটি অ্যাকাউন্ট থেকে নিজের কয়েকটি আপত্তিকর ছবি পান। পরে ওই আইডির ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টে সাড়া দিতে এস কে নোমান নামের আরেকটি আইডি থেকে ওই ছাত্রীকে বার্তা পাঠানো হয়। এস কে নোমান আইডি আবিদের মনে করে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টে সাড়া দেন ওই ছাত্রী। এরপর এস কে নোমানের আইডি থেকে ছাত্রীর কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। টাকা না দিলে তাঁর আপত্তিকর ছবি ফেসবুক ও ইউটিউবে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।

পুলিশ বলছে, ওই ছাত্রী মামলায় এস কে নোমানের নাম উল্লেখ করেছেন। তবে নোমানের আসল নাম সোলাইমান। তিনি ওই ছাত্রীর বান্ধবীর স্বামী। সোলাইমান ফেসবুকে এস কে নোমান নামের আইডি ব্যবহার করেন। কোনো একসময় কৌশলে ওই ছাত্রীর মুঠোফোন থেকে সোলাইমান আপত্তিকর ছবি নিজের মুঠোফোন নিয়ে নেন। এরপর নতুন আইডি খুলে ওই ছাত্রীকে হুমকি দিতে থাকেন। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে আবিদের পরিচিত নন সোলাইমান।

বগুড়ার পুলিশ সুপার ও জেলা পুলিশের সাইবার ইউনিটের প্রধান আলী আশরাফ ভূঞা প্রথম আলোকে বলেন, ওই ছাত্রীর করা মামলায় গত শনিবার সোলাইমানকে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর ও আবিদকে বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।