সবচেয়ে বেদনাদায়ক এবারের ঈদ: রিজভী

রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি
রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি

এবারের ঈদ সবচেয়ে বেদনাদায়ক হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন হয়।

ঈদ কেন ‘বেদনাদায়ক’ হবে, এর কারণ তুলে ধরেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক নয়, সবচেয়ে বেদনাদায়ক ঈদ হবে এবার। কারণ, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে অবৈধ ক্ষমতার জোরে কারাবন্দী রাখা হয়েছে। এর কারণ গণতন্ত্রহীন দেশে অশান্তি, প্রতিহিংসা, হানাহানি ও বিচারহীনতার রাজত্ব কায়েম রাখা।’

রিজভী অভিযোগ করেন, মানসিক ও শারীরিকভাবে কষ্ট দেওয়ার জন্যই খালেদা জিয়াকে বন্দী করে রাখা হয়েছে। এর কারণ একটা চিরস্থায়ী জমিদারি শাসন কায়েম রাখা।

রিজভীর বক্তব্য, একদলীয় বাকশালি সরকারের কবলে পড়ে দেশ এখন এক চরম নৈরাজ্যজনক অবস্থার মধ্যে নিপতিত। তাই বেশির ভাগ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ঈদের আনন্দ নেই। এ ছাড়া ধানের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় কোটি কোটি কৃষকের ঘরে কোনো ঈদ আনন্দ নেই। বেশির ভাগ মানুষের পকেটে টাকা না থাকায় মার্কেটগুলো প্রায় ফাঁকা, বেচাকেনা নেই, সেটি স্বীকার করেছেন ব্যবসায়ীরা। সুতরাং, তাঁদের মনেও ঈদের আনন্দ নেই।

রিজভী বলেন, এমপিওভুক্ত স্কুল-মাদ্রাসার অনেক শিক্ষক এখনো বেতন-বোনাস পাননি। তাঁদের মনেও ঈদের আনন্দ নেই। বিদেশ থেকে অনেক প্রবাসীর টাকা আসত বাংলাদেশে, এখন সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে এবং অন্যান্য দেশে কাজ না থাকায় অনেক প্রবাসী বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। দেশে কোটি কোটি যুবক বেকার। তাদের কোনো কাজ নেই, আয়ও নেই। তাদের ঘরেও ঈদের আনন্দ নেই।

রিজভী বলেন, শেয়ারবাজার বারবার ধ্বংসের কারণে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পুঁজিসহ সব নিঃশেষ হয়ে গেছে। তাঁদের ঘরেও ঈদ আনন্দ নেই। বিএনপিসহ বিরোধী দলের ৫০ লাখ নেতা-কর্মী বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা রয়েছে। তাঁরা বাড়িছাড়া, ঘরছাড়া অথবা কারাগারে। তাঁদের ঘরেও ঈদ আনন্দ নেই।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, বর্তমান দুঃশাসনের কবলে পড়ে হাজার হাজার মানুষ গুম-খুনের শিকার হচ্ছে। নারী-শিশুরা খুন, ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তাদের পরিবারেও ঈদের আনন্দ নেই।