ঈদের দিন আবহাওয়া যেমন থাকবে

রমজান মাস প্রায় শেষ। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বুধ বা বৃহস্পতিবার হতে পারে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে এরই মধ্যে বহু মানুষ ফিরতে শুরু করেছেন আপন ঠিকানায়। ঘরে ফেরার এই সময় তাঁদের সঙ্গী হয়েছে বৃষ্টি। গত শুক্রবার থেকে কখনো হালকা, কখনোবা ভারী বৃষ্টি হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। বৃষ্টির রেশ আজ সোমবারও রয়েছে। বৃষ্টিপাতের এই ধারা কমছে না; বরং কোথাও কোথাও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ সকাল নয়টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। আগামীকাল মঙ্গল থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আগামী ৭২ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।। এ ছাড়া দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু টেকনাফ উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে।

ঈদের দিনে মৌসুমি বায়ুর প্রভাব না পড়লেও দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তিন দিনের মধ্যে টেকনাফ পর্যন্ত মৌসুমি বায়ু চলে এলেও বাংলাদেশে এর প্রভাব পড়বে না। তবে বৃষ্টির প্রবণতা থাকবে ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের মধ্য, উত্তর–পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে। খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে এসব অঞ্চলের চেয়ে বৃষ্টি কম হতে পারে। সব মিলিয়ে ঈদের সময় বৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, সকাল নয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি কিংবা বজ্রবৃষ্টিসহ ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারণে এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। দেশের অন্যান্য এলাকায় পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি কিংবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।