স্পিডবোটে ঝুঁকি নিয়ে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন যাত্রীরা

ঢাকা থেকে শরীয়তপুরের নৌপথে দুই দিন ধরে ঈদে ঘরমুখী মানুষের চাপ বেড়েছে। অন্যদিকে সোমবার সকাল থেকে বৃষ্টি ও বাতাসের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ধীরে ধীরে উন্মত্ত হয়ে উঠছে পদ্মা। এর ফলে শিমুলিয়া-মঙ্গল মাঝির ঘাট নৌপথ ছোট নৌযানের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। তবে এর মধ্যেও ঘরে ফেরার তাড়নায় অনেকে ঝুঁকি নিয়ে স্পিডবোটে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন।

সোমবার সকালে ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, বৃষ্টি ও বাতাস থাকায় পদ্মা নদীতে স্রোত ও ঢেউ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ অবস্থার মধ্য দিয়ে স্পিডবোটে যাত্রী পারাপার চলছে। অনেক যাত্রীকে দেখা যায় নারী ও শিশুদের নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে স্পিডবোটে নদী পাড়ি দিচ্ছেন।

শরীয়তপুরের গোসাইর হাট উপজেলার সামন্তসার গ্রামের আবু হানিফ তাঁর স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান নিয়ে সোমবার দুপুরে পদ্মা পাড়ি দিতে চড়ে বসেন স্পিডবোটে। পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে অন্য যাত্রীদের সঙ্গে যখন তিনি মঙ্গল মাঝির ঘাটে পৌঁছান, ততক্ষণে তাঁরা ভিজে গেছেন। কীভাবে ভিজলেন? জানতে চাইলে হানিফ বলেন, নদীর পানির ঢেউয়ের ঝাপটায় বোটে থাকা সবাই ভিজে গেছেন।

আবু হানিফ বলেন, ‘লঞ্চে অনেক ভিড়, মহিলা ও শিশুদের নিয়ে লঞ্চে উঠতে পারছিলাম না। বাড়ি তো ফিরতে হবে, তাই একটু ঝুঁকি নিয়ে স্পিডবোটে পার হয়েছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটের নৌপুলিশের পরিদর্শক মো.আমিনুল ইসলাম বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকলে ছোট নৌযান চলাচলে বাধা দেওয়া হয়। নদী উত্তাল থাকায় সোমবারও স্পিডবোট চালক ও মালিকদের বাধা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাঁরা বাধা উপেক্ষা করেই স্পিডবোট চালাচ্ছেন।

অন্যদিকে স্থানীয় ও যাত্রীদের সূত্রে জানা যায়, ঈদে ঘরে ফেরা যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়ের সুযোগ নিয়ে তাঁদের থেকে বেশি ভাড়া আদায় করছে নৌযানগুলো। তবে ভাড়া বেশি, এ অভিযোগের বিষয়ে শিমুলিয়া স্পিডবোট ঘাটের ইজারাদার মো. আশ্রাফ উদ্দিন মুঠোফোনে বলেন, যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া নেওয়ার কথা না। যাত্রীর চাপ থাকায় অসাধু চালকেরা বেশি নিতে পারেন। খোঁজ নিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।