পাঁচ দিনেই পাঞ্জাবির দাম দ্বিগুণ, আড়ংকে জরিমানা

আড়ংয়ের উত্তরা শাখা থেকে গত ২৫ মে ৭৩০ টাকায় একটি পাঞ্জাবি কেনেন এক ক্রেতা। ৩১ মে আবার একই পাঞ্জাবি কিনতে গিয়ে দেখেন দাম লেখা ১ হাজার ৩০৭ টাকা। মাত্র পাঁচ দিনের ব্যবধানে একই পাঞ্জাবির দাম বেড়েছে ৫৭৭ টাকা। তিনি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে বিষয়টি জানালে গতকাল সোমবার আড়ংয়ের এই শাখাকে সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি শাখাটিও সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে আড়ং কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করায় পৌনে আট ঘণ্টা পর শাখাটি খুলে দেওয়া হয়।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল জব্বার মণ্ডল বলেন, আড়ং কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করেছে। ভবিষ্যতে এমন ভুল আর হবে না মর্মে তাঁরা লিখিত অঙ্গীকার করেছে। তাই রাত সাড়ে আটটার পরে তাঁদের ওই শাখাটি খুলে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে অভিযানের বিষয়ে আবদুল জব্বার মণ্ডল বলেছেন, ‘ওই ভদ্রলোক দুটি পাঞ্জাবিই কিনেছিলেন। একবার দাম দিয়েছেন ৭৩০ টাকা, আরেকবার ১ হাজার ৩০৭ টাকা। এরপর তিনি এ ব্যাপারে আমাদের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে তাঁকে সঙ্গে নিয়েই উত্তরার জসীমউদ্দীন রোডে আড়ংয়ের শাখায় অভিযান চালানো হয়। দেখা যায়, দুই পাঞ্জাবিতে কোনো ধরনের পার্থক্য নেই। শুধু দাম বাড়ানো হয়েছে।’

জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা জানান, প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ দাম বাড়ানোর বিষয়ে আড়ংয়ের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। লিখিতভাবে এই ব্যাখ্যা দিতে হবে। ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে শাখাটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে।

আড়ংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘ভুলবশত ওই পণ্যের গায়ে ভুল মূল্য লাগানো হয়েছিল। এর জন্য আমরা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছি।’ তিনি বলেন, পণ্যের গায়ে মূল্য লাগানোর কাজ হাতে করা হয়। তাই ভুল হয়েছিল। ভবিষ্যতে এমন ভুল আর হবে না।

আড়ংয়ের এই শাখা ছাড়াও গতকাল উত্তরার একটি মিষ্টি ও একটি খাবারের দোকানকে ৭০ হাজার টাকা এবং গুলশানের ভাসাবি ফ্যাশনকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আবদুল জব্বার মণ্ডল বলেন, উত্তরা জসীমউদ্দীন রোডের বিক্রমপুর সুইটস পণ্যের মোড়কে উৎপাদনের তারিখ লিখতে অনিয়ম করেছে। আজ (গতকাল) ৩ জুন। কিন্তু তারা দইয়ের গায়ে উৎপাদনের তারিখ লিখে রেখেছে ১৩ জুন। এই অপরাধে তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আর ফিলিং ফাস্টফুড নামের খাবারের দোকানকে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার পরিবেশনের অপরাধে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এরপর গুলশানে ভাসাবি ফ্যাশনে আমদানিকারকের স্টিকার ছাড়া বিদেশি কসমেটিকস, শাড়ি ও থ্রিপিস বিক্রির প্রমাণ পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানটিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।