যানজটে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা পুড়াল প্রশাসনের গাড়ি
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের যানজটে আটকে পড়া বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা রাস্তায় টায়ার জালিয়ে বিক্ষোভ করেছে। এ সময় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিক্ষুব্ধ যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে এলে তাঁরা জেলা প্রশাসনের একটি গাড়িতেও অগ্নিসংযোগ করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, ভোররাত থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে যানবাহন চলাচল স্থবির হয়ে যায়। এতে বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কি পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়। শত শত গাড়ির হাজারো যাত্রী দীর্ঘসময় একই জায়গায় আটকে থেকে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলার বিক্রমহাটি, ঘারিন্দা এলাকায় এবং কালিহাতী উপজেলার পৌলি এলাকায় যাত্রীরা বাস থেকে নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেন। তাঁরা রাস্তায় টায়ারে আগুন জালিয়ে দিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিক্রমহাটি এলাকায় বিক্ষুব্ধ যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে যান। এ সময় যাত্রীরা আরও বেশি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তাঁরা টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিমের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন।
আজ মঙ্গলবার থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড় থেকে টাঙ্গাইলের করটিয়া পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় মহাসড়কে থেমে থেমে খুবই ধীরগতিতে চলেছে যানবাহন। বেলা একটার পর অবশ্য এ পথে ধীরগতিতে যান চলাচল শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল মহাসড়ক চার লেন হয়েছে। তবে টাঙ্গাইলের পর এলেঙ্গা থেকে সড়ক দুই লেন। গতকাল সোমবার বিকেল থেকে বিপুলসংখ্যক মানুষ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ঈদের ছুটি কাটাতে যানবাহনে চাপেন। প্রচুর যানবাহন সড়কে নামে তখন। ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল সড়কে থেমে থেমে গাড়ি চললেও বড় ধরনের যানজট ছিল না। চার লেনের সুবিধাতেই টানা গাড়ি চলে। কিন্তু এলেঙ্গার দুই লেনের সড়কে এসেই গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে। আবার এর মধ্যে সেতুর পশ্চিম পাশে গাড়ি চলতে থাকে আরও ধীরগতিতে।