ফরিদপুরের সড়কে ঝরল চার প্রাণ

ফরিদপুরে গাছের সঙ্গে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কা লাগার ঘটনায় চারজনের প্রাণহানি ঘটে। ছবি: প্রথম আলো
ফরিদপুরে গাছের সঙ্গে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কা লাগার ঘটনায় চারজনের প্রাণহানি ঘটে। ছবি: প্রথম আলো

ফরিদপুরে গাছের সঙ্গে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কা লাগার ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছে। আহত কমপক্ষে ২৩ জন। আজ বুধবার সকাল পৌনে সাতটার দিকে ফরিদপুর সদরের মাচ্চর ইউনিয়নের ধুলদি রেলগেট এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত চারজনের মধ্যে মাত্র একজনের পরিচয়ের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি হলেন মো. মালেক (৫৫)। তাঁর বাড়ি যশোর। আহত ২৩ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক কামদা রঞ্জন সাহা জানান, চারজনই ঘটনাস্থলে মারা গেছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কারও মৃত্যু হয়নি।

ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মো. নূরুল আলম জানান, ঢাকা থেকে ওই বাস খুলনা যাচ্ছিল। ফরিদপুরের ধুলদি এলাকায় ধুলদি রেলগেট পার হওয়ার সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি মহাসড়কের পূর্ব পাশে একটি গাছে গিয়ে সজোরে আঘাত করে। ধাক্কা খেয়ে বাসটি সড়কের মাঝামাঝি ঢাকার দিকে ঘুরে যায়। হতাহত ব্যক্তিদের সবাই বাসের সামনের দিকে ছিলেন।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শুকুর আলী (৪৫) নামের এক যাত্রী জানান, রাস্তা ফাঁকা পেয়ে চালক বেপরোয়া গতিতে বাসটি চালাচ্ছিলেন। এ নিয়ে যাত্রীরা চিৎকার–চেঁচামেচি করলেও চালক কথা শোনেননি। শুকুর আলী জানান, হঠাৎ সড়কের পাশে একটি গাছে দ্রুতগতির বাসটি সজোরে আঘাত করলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। জ্ঞান ফিরে নিজেকে হাসপাতালের শয্যায় দেখতে পান।

কানাইপুর হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে নিহত চার যাত্রীর লাশ উদ্ধার করে ফাঁড়িতে নিয়ে যান। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক কামদা রঞ্জন সাহা প্রথম আলোকে জানান, হাসপাতালে ওই দুর্ঘটনায় আহত ২৩ জন যাত্রীকে ভর্তি করা হয়েছে। এদের কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মো. নূরুল আলম জানান, দুর্ঘটনায় আহত সাড়ে তিন বছরের এক শিশুকে তাঁরা পান। শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁদের জিম্মায় রেখেছেন। শিশুটি নিজের নাম বা কোনো ঠিকানা বলতে পারছে না।

কানাইপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) জায়নুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি সড়কের মাঝে আড়াআড়িভাবে পড়ে থাকায় ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় পুলিশ বাসটি সরিয়ে সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করে। তিনি বলেন, নিহত চারজনের মধ্যে একজন ছাড়া আর কারও পরিচয় পাওয়া যায়নি।