পাসপোর্ট ছাড়া পাইলট কাতারে, তদন্তে কমিটি

পাসপোর্ট ছাড়াই বিমানের একটি ফ্লাইট নিয়ে কাতারের দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন পাইলট ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ। প্রধানমন্ত্রীকে ফিনল্যান্ড থেকে আনার জন্য তিনি যাচ্ছিলেন। পাসপোর্ট না থাকায় দোহায় তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সিনিয়র সহকারী সচিব গাজী তারেক সালমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ফজল মাহমুদ চৌধুরী দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাসপোর্টবিহীন অবস্থায় সেই দেশের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের হাতে আটক হন। এ ঘটনায় ৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে আন্তমন্ত্রণালয়। তিন কর্মদিবসের মধ্যে এ কমিটিকে মন্ত্রপরিষদ সচিবের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মৎ নাসিমা বেগমকে আহ্বায়ক করে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যরা হলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পাসপোর্টবিহীন বিমানে ভ্রমণ এবং ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলার বিষয়টি তদন্তের জন্য এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির কর্মপরিধিতে বলা হয়, ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ চৌধুরীর পাসপোর্টবিহীন দোহা ভ্রমণের কারণ, ঢাকায় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলার বিষয় এবং বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মপদ্ধতির ত্রুটি নিরূপণ।

উল্লেখ্য, ফিনল্যান্ড সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বিমানের ড্রিমলাইনার বোয়িং ৭৮৭ উড়োজাহাজ ঢাকা ছেড়ে কাতারের উদ্দেশে রওনা দেয়। কিন্তু পাসপোর্ট ছাড়াই বিমানটি চালিয়ে কাতারের দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে যান পাইলট ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ। আর পাসপোর্ট না থাকায় তাঁকে আটকে দিয়েছে কাতার ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।