শিবপুরে গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নরসিংদীর শিবপুরে এক গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার কারারচর এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, পারিবারিক কলহের জেরে তাঁকে হত্যা করা হয়।

নিহতের নাম নাজমা বেগম (২৫)। তিনি জেলার রায়পুরা উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের মোন্তাজ উদ্দিনের মেয়ে। তাঁর আট মাস বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ঘটনার পর থেকে তাঁর স্বামী নজরুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।

এলাকাবাসী বলছে, গাজীপুরের টঙ্গীর বিসিক শিল্প এলাকার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন কুড়িগ্রাম জেলার নজরুল ইসলাম। প্রায় দুই বছর আগে তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয় নাজমা বেগমের। চার মাস আগে কারারচরের ওই ভাড়া বাড়িতে ওঠেন তাঁরা। আজ সকালে তাঁদের আট মাস বয়সী শিশুর চিৎকার শুনে পার্শ্ববর্তী লোকজন ঘরে গিয়ে নাজমার গলাকাটা লাশ দেখতে পান। পরে স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

পুলিশের ধারণা, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় নজরুল ইসলাম তাঁর স্ত্রীকে হত্যার পর বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে পালিয়ে গেছেন। তাঁকে আটক করতে পারলে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব হবে।

নাজমা বেগমের মা জাহানারা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, পারিবারিক কলহের কারণে এক বছর ধরে নাজমাকে তিনি তাঁদের বাড়িতে এনে রেখেছিলেন। চার মাস আগে নজরুল তাঁকে নিয়ে ওই ভাড়া বাসায় ওঠেন। নজরুল কথা দিয়েছিলেন, তাঁদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনো কলহ-বিবাদ হবে না। জাহানারা বেগমের ধারণা, নজরুলই তাঁর মেয়েকে হত্যা করেছেন।

শিবপুর থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক আনোয়ার হোসেন বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে তাঁরা ধারণা করছেন। হত্যার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

আনোয়ার হোসেন আরও জানান, প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন, নজরুল ও নাজমা ওই ভাড়া বাসাতেই ঈদের ছুটি কাটিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত তারা তাঁকে সেখানে দেখতে পেয়েছেন।