খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা নিয়ে সরকার যথেষ্ট সচেতন: কাদের

ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা নিয়ে সরকার যথেষ্ট সচেতন। খালেদা জিয়াকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দিয়ে সেখানে (বিএসএমএমইউ) রাখা হয়েছে।

আজ শনিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। বিএসএমএমইউয়ে পেট্রল বোমা সদৃশ বস্তু পাওয়ার বিষয়টিকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

গত বৃহস্পতিবার শাহবাগ থানার পুলিশ বিএসএমএমইউয়ের প্রশাসনিক ভবনের তৃতীয় তলার রেজিস্ট্রারের কক্ষের সামনে থেকে বোমাসদৃশ একটি বোতল উদ্ধার করে। এই হাসপাতালেরই আরেকটি ভবন কেবিন ব্লকের ৬২১ নম্বর কক্ষে কারাবন্দী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসাধীন। ওই ঘটনার পর গতকাল শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বোমাসদৃশ একটি বোতল উদ্ধারের পেছনে ‘ওপর মহলের নীলনকশা’ রয়েছে

আজ কাদের অবশ্য বলেন, এসব বিষোদ্‌গার করে বিএনপি তাদের নেতা-কর্মীদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছে। তাই তারা এসব কথা বলছে, তাদের আর কোনো ইস্যু নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হতেই পারে। আজ টেররিজম একটি বৈশ্বিক সমস্যা। বাংলাদেশ কোনো বিচ্ছিন্ন দেশ নয়। আমারও কোনো বিচ্ছিন্ন দেশের বাসিন্দা নই। এসব ঘটনা হতে পারে। তবে উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমরা সতর্ক আছি, শঙ্কিত নই।

আজ আওয়ামী লীগের ৭০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন ২৩ জুন সকালে বঙ্গবন্ধু ভবন ও বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি। এরপর আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।

২৪ জুন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কেন্দ্রে আলোচনা সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে এবং ২৫ জুন বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। ঢাকায় তিন দিনব্যাপী আর সারা দেশে মাসব্যাপী কর্মসূচি চলবে বলেও জানান কাদের। এ ছাড়া সারা দেশের জেলা-উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হবে। ২৩ জুন থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, সভা-সমাবেশ, সেমিনার ও র‍্যালি, আলোচনা সভা, প্রচার, পুস্তিকা প্রকাশ করা, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা।

এবার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রতিটি জেলা আওয়ামী লীগের প্রবীণ দুজন নেতাকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলেও মন্তব্য করেন কাদের। তিনি আরও বলেন, প্রতিটি জেলা থেকে জেলা আওয়ামী লীগের দুজন করে প্রবীণ নেতার নাম পাঠাতে বলা হয়েছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দলের পক্ষ থেকে এই প্রবীণ নেতাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এ কে এম এনামুল হক শামীম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।