পেট্রলবোমার সঙ্গে বিএনপির কর্মীরা বেশ পরিচিত: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ফাইল ছবি
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ফাইল ছবি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) বোমাসদৃশ বোতল উদ্ধারের ঘটনায় তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, পেট্রলবোমার সঙ্গে বিএনপির কর্মীরা বেশ পরিচিত।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে দেশব্যাপী তারা পেট্রলবোমা হামলা চালিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। তেমনি বিএসএমএমইউয়ের প্রশাসনিক ভবনে পাওয়া বোমাসদৃশ বস্তুর সঙ্গে বিএনপির যোগসাজশ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা উচিত। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলেরও সমালোচনা করেন তথ্যমন্ত্রী।
শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের দেওয়ানজী পুকুর পাড়ে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।

গত শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বোমাসদৃশ একটি বোতল উদ্ধারের পেছনে ‘ওপর মহলের নীলনকশা’ রয়েছে। রিজভীর এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী এই সংবাদ সম্মেলন করেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির মুখপাত্র রিজভী প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করেন। সেই ধারাবাহিকতায় তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পেট্রলবোমা পাওয়া গেছে। এ জন্য তিনি খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু এই পেট্রলবোমার সঙ্গে তাঁর দলের নেতা-কর্মীরা বেশ পরিচিত। তাঁরা সেখানে পেট্রলবোমা রেখেছেন কি না, তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর খতিয়ে দেখা উচিত। কারণ, দেশের মেডিকেল চিকিৎসা ব্যবস্থার সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে খালেদা জিয়া চিকিৎসা নিতে চান না। তিনি ইউনাইটেড হাসপাতাল কিংবা বেসরকারি মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে আগ্রহী। এ জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পেট্রলবোমাসদৃশ বস্তুর পেছনে বিএনপির হাত আছে কি না, আমাদের সন্দেহ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা খতিয়ে দেখছে।

সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনা করেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ঈদের দিন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে না দেওয়ায় জেল কোড (কারাবিধি) লঙ্ঘিত হয়নি। কারণ, বন্দীদের সঙ্গে কেবল আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবেরা কারাগারে দেখা করার সুযোগ পান। খালেদা জিয়াও তাঁর আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে ঈদের দিন দেখা করার সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কি খালেদা জিয়ার বন্ধু? নাকি আত্মীয়? তিনি আসলে কোনোটা নন। কেবল রাজনৈতিক সহকর্মী। তিনি বন্ধু হলে কারাগারে দেখা করার সুযোগ পেতেন।

গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহবাগ থানার পুলিশ বিএসএমএমইউয়ের প্রশাসনিক ভবনের তৃতীয় তলার রেজিস্ট্রারের কক্ষের সামনে থেকে বোমাসদৃশ একটি বোতল উদ্ধার করা হয়। বিএসএমএমইউয়ের আরেকটি ভবনের কেবিন ব্লকে কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসাধীন।