দৌলতদিয়ায় ফেরিতে আগুন, এক ঘণ্টা গাড়ি ওঠানামা বন্ধ

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে চলাচলকারী যানবাহনবোঝাই একটি বড় ফেরির পাইপে গতকাল শনিবার রাতে আগুন ধরে যায়। ফেরির লোকজনের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভান। ফেরি কর্তৃপক্ষের দাবি, বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি। 


কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ও ফেরি কর্তৃপক্ষ জানায়, শনিবার সন্ধ্যার পর পাটুরিয়া ঘাট থেকে যানবাহন বোঝাই করে দৌলতদিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায় রো রো (বড়) ফেরি আমানত শাহ। রাত ৮টার দিকে ফেরিটি দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ঘাটে ভেড়ার চেষ্টাকালে চালকের বাম পাশের এক্সজস্ট বা কার্বন নির্গত হওয়ার পাইপে আগুন ধরে যায়। এ সময় দ্রুত ইঞ্জিন বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফেরির নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন ফেরির লোকজন।

খবর পেয়ে গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা চেষ্টা করে তাঁরা আগুন নেভান। পরে ফেরিটি ঘাটে ভেড়ানো হয়। ফেরি থেকে গাড়িগুলো আনলোড করানো হয়। এ সময় ফেরিতে থাকা যাত্রী ও যানবাহনের চালকদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।

গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন মাস্টার আবদুর রহমান বলেন, ফেরিতে আগুন লাগার খবর পেয়ে তাঁরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। আগুন নেভাতে অনেক বেগ পোহাতে হয়। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মী কিছুটা আহত হন। রাত নয়টার দিকে আগুন নেভানো হয়।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক আবু আবদুল্লাহ রনি বলেন, ফেরির নিজস্ব ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট যৌথভাবে আগুন নেভানোর কাজ করে।

বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. এনামুল হক প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিটি ফেরির পাইপে কার্বন বেশি পরিমাণ জমে গেলে মাঝেমধ্যে এমন ফায়ারিং হতে পারে। আবার কখনো বেশি পরিমাণ লোড হলেও এমনটি ঘটতে পারে। মাঝেমধ্যে ফেরির কার্বন নির্গত হওয়ার পাইপের ভেতর কার্বন বেশি জমে গেলে এমনটি ঘটে।