পলাশে পুলিশের দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার মামলায় ছাত্রলীগের নেতাসহ গ্রেপ্তার ৬

নরসিংদীর পলাশ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ মো. রাজন মিয়াকে পুলিশের দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
নরসিংদীর পলাশ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ মো. রাজন মিয়াকে পুলিশের দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

নরসিংদীর পলাশে পুলিশের দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ মো. রাজন মিয়াসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে তাঁদের নরসিংদীর আদালতে নেওয়া হলে সবাইকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। এ ঘটনায় শনিবার রাতে চরসিন্দুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাস বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জনকে আসামি করে পলাশ থানায় মামলা করেন। শনিবার দিবাগত রাতেই পলাশ থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার অন্য পাঁচজন হলেন—পলাশের চরসিন্দুর ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে সুমন (২৫), আবু সাঈদ ভূঁইয়ার ছেলে শফিকুল ভূঁইয়া (২০), মোবারক মোল্লার ছেলে রহিম মোল্লা (১৯), কাজল মিয়ার ছেলে শুভ মিয়া (২০) ও হানিফ মিয়ার ছেলে রাজন মিয়া (১৯)।

পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছেন, চরসিন্দুরে নবনির্মিত সেতুতে শনিবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের কাপাসিয়া ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মী সময় কাটাতে আসেন। সে সময় চরসিন্দুরের স্থানীয় একদল ছেলের সঙ্গে তাঁদের কথা-কাটাকাটি হয়। ঘটনাটি অনেক দূর গড়িয়ে যাচ্ছে দেখে কাপাসিয়া ছাত্রলীগের পলাশ নামের এক কর্মী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ মো. রাজন মিয়াকে ঘটনাটি জানান ও সাহায্য চান। এদিকে চরসিন্দুরের স্থানীয় ছেলেরা ক্যাম্প পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ আসার আগেই রাজন ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয় এক যুবককে থাপ্পড় মেরে দুই পক্ষের ঝামেলা মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। ওই সময় চরসিন্দুর ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাস ফোর্স নিয়ে এসে লাঠিপেটা শুরু করেন। ওই সময় রাজনের শরীরেও লাঠির আঘাত লাগে। এ ঘটনায় রাজনের কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পুলিশের ওপর চড়াও হয়। তাতে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী ও পুলিশের অন্তত ১০ জন আহত হন।

চরসিন্দুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাস প্রথম আলোকে বলেন, ‘শনিবার রাতে চরসিন্দুর সেতুতে এক ছেলেকে মারধর করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই আমরা। মারধর করতে দেখে আমরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু রাজনের নেতৃত্বে উচ্ছৃঙ্খল ছেলেরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। এ ঘটনায় আহত পুলিশ সদস্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তারপরই পুলিশের দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে থানায় মামলা করা হয়।’

উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আপেল মাহমুদ বলেন, পুলিশের সঙ্গে সামান্য ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু পুলিশ বিষয়টিকে বড় করে তুলেছে।

পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ায় রাজন ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই মামলায় তাঁদের ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।