তিড়িংবিড়িং করে ঘুরে বেড়াচ্ছে নতুন অতিথি

জেব্রার পালে এসেছে নতুন অতিথি। গত ২৮ মে ও ৯ জুন দুটি শাবকের জন্ম হয়। তার একটি মায়ের দুধ পান করছে। গত রোববার গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে।  ছবি: সাদিক মৃধা
জেব্রার পালে এসেছে নতুন অতিথি। গত ২৮ মে ও ৯ জুন দুটি শাবকের জন্ম হয়। তার একটি মায়ের দুধ পান করছে। গত রোববার গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে। ছবি: সাদিক মৃধা

সাদা শরীরে কালো ডোরাকাটা জেব্রাদের পাল। সেখানেই তিড়িংবিড়িং করে ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদের ছোট্ট এক সদস্য। তবে সব সময় মা জেব্রার আশপাশেই থাকছে সে।

গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে গত রোববার জেব্রার দলে নতুন এই অতিথির আগমন। এর আগে গত ২৮ মে আরেকটি জেব্রাশাবকের জন্ম হয়। সুখবর আছে পার্কে ওয়াইল্ডবিস্ট পরিবারেও। সেখানেও জন্ম হয়েছে এক শাবকের।

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের কর্মকর্তারা জানান, এ নিয়ে পার্কে জেব্রার পালে সদস্যসংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬টিতে। এই পার্ক প্রতিষ্ঠার পর দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ থেকে কয়েক দফায় জেব্রা আনা হয় এখানে। পরে এগুলো বিভিন্ন সময় বাচ্চা দিয়েছে।

এদিকে আফ্রিকান ওয়াইল্ডবিস্ট পরিবারেও নতুন অতিথি এসেছে। কর্মকর্তারা জানান, গত ২৭ মে পার্কের কোর সাফারিতে শাবকটিকে মা ওয়াইল্ডবিস্টের সঙ্গে ঘুরতে দেখা যায়। পার্কে ওয়াইল্ডবিস্টের বর্তমান সংখ্যা ১০টি। ওয়াইল্ডবিস্ট নিজেদের আড়ালে রাখতে পছন্দ করে। তাই পার্কে দর্শনার্থীরা এই প্রাণীটিকে দূর থেকে দেখার সুযোগ পান শুধু।

পার্কের বন্য প্রাণী পরিদর্শকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আফ্রিকা অঞ্চলের প্রাণী জেব্রার গড় ওজন প্রায় ৩০০ কেজি। ঘাসই এদের প্রধান খাবার। তবে আবদ্ধ পরিবেশে অন্যান্য দানাদার খাবারও এদের দেওয়া হয়। জেব্রার ঘাড়ে কেশরের মতো খাড়া চুল থাকে। শরীরে ডোরাকাটা দাগের প্যাটার্ন ভিন্ন ভিন্ন হয়। বারকোডের মতো অনন্য প্যাটার্নের কারণে প্রতিটি জেব্রা নিখুঁতভাবে শনাক্ত করা যায়। এদের গড় আয়ু ২০ বছর।

পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী বনসংরক্ষক তবিবুর রহমান বলেন, ‘সম্প্রতি আমরা ওয়াইল্ডবিস্ট ও জেব্রার শাবক পেয়েছি। কোর সাফারিকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। আগামী দিনে এখানে আফ্রিকান প্রাণীগুলোর জন্য আরও বেশি সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি হবে। তখন প্রাণীগুলো থেকে আরও বেশি বাচ্চা পাওয়া যাবে।’