ঢাকাগামী যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন টাঙ্গাইলের বাসমালিকেরা, যুক্তি পরিবহন সংকট রোধ!

ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলমুখী মানুষের ভিড়। নতুন বাস টার্মিনাল, টাঙ্গাইল, ১১ জুন। ছবি: প্রথম আলো
ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলমুখী মানুষের ভিড়। নতুন বাস টার্মিনাল, টাঙ্গাইল, ১১ জুন। ছবি: প্রথম আলো

টাঙ্গাইলে ঢাকাগামী যাত্রীদের কাছ থেকে প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। পরিবহন মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের ভাষ্য, আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই বর্ধিত ভাড়া নেওয়া হবে। তাঁদের দাবি, বাড়তি ভাড়া না নিলে পরিবহন সংকট দেখা দেবে।

যাত্রীরা জানান, ঈদের চার-পাঁচ দিন আগে থেকেই ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলগামী প্রতিটি বাস-মিনিবাস সার্ভিস দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করেছে। ঈদের দুদিন পর থেকে আবারও টাঙ্গাইল থেকে ঢাকাগামী যাত্রীদের কাছ থেকে একই কায়দায় প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া আদায় শুরু হয়েছে। এর ফলে সাধারণ যাত্রীদের বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষের কর্মস্থলে ফিরতে বাড়তি টাকা খরচ করতে গিয়ে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে।

মঙ্গলবার টাঙ্গাইল নতুন বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, শীতাতপনিয়ন্ত্রিত বাস সার্ভিসে ২৫০ টাকার স্থলে ৪০০ টাকা করে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। একইভাবে নিরালা সিটিং সার্ভিসে ১৫০ টাকার ভাড়া ২৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। অন্যান্য সার্ভিসেও প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। সাধারণ যাত্রীরা বাড়তি ভাড়া আদায়য়ের প্রতিবাদ করলেও কোনো লাভ হচ্ছে না।

ঢাকাগামী শীতাতপনিয়ন্ত্রিত বাসের যাত্রী শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার শামীমুল ইসলাম বলেন, সপ্তাহব্যাপী বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে, অথচ দেখার কেউ নেই। নিরালা সিটিং সার্ভিসের কাউন্টারের সামনে যাত্রী আতাউর রহমান বলেন, ‘দেশে কি আইন বলে কিছু নেই। যার যেমন ইচ্ছা ভাড়া নেবে।’

গাজীপুর এলাকার পোশাকশ্রমিক আয়শা বেগম বলেন, তিনি ঈদ শেষে কর্মস্থল ফিরবেন। গাজীপুরের চন্দ্রা এলাকায় নামবেন। কিন্তু তাঁর কাছ থেকে ধলেশ্বরী সার্ভিসে ঢাকা পর্যন্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। এতে ছেলেমেয়েসহ পাঁচজনের যেতে দ্বিগুণ করে ভাড়া গুনতে হচ্ছে।

শুধু টাঙ্গাইল থেকেই নয়, এ জেলার ধনবাড়ী, মধুপুর, গোপালপুর, ভূঞাপুরসহ সব উপজেলা থেকেও বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা।

এ প্রসঙ্গে জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি খন্দকার ইকবাল হোসেন জানান, বর্ধিত ভাড়া না নিলে এ গাড়িগুলো উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকায় রিজার্ভে চলে যাবে। এতে টাঙ্গাইলের যাত্রীরা পরিবহন সংকটে পড়বে। বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলেই গাড়িগুলো এ রুটে রয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাড়তি ভাড়া নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।