রাজুতে অবস্থানরতদের সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো সম্পর্ক নেই: নানক

জাহাঙ্গীর কবির নানক। ফাইল ছবি
জাহাঙ্গীর কবির নানক। ফাইল ছবি

ছাত্রলীগের কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বাদ দেওয়া ও যোগ্যদের পদায়নসহ চার দফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ছাত্রলীগের একাংশ। তাদের সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। ভুল পথ পরিহার করে ছাত্রলীগের সঠিক স্রোতোধারায় ফিরে আসতে আন্দোলনকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে তৈরি হওয়া পরিস্থিতির বিষয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপকালে জাহাঙ্গীর কবির নানক এসব কথা বলেন।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। ছাত্রলীগ কমিটি ঘোষণা করেছে, বিতর্কিত হওয়ায় ইতিমধ্যে ১৯ জনের পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে এ নিয়ে অবস্থানে থাকার প্রশ্নই আসে না, কোনো কারণই নেই।’ তিনি বলেন, কোনো সমস্যা থাকলে দলীয় ফোরামে ছাত্রলীগের নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করেই তার সমাধান করতে হবে। পাঁচজন শুয়ে থাকবে আর বলবে যে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎপ্রার্থী, সেটি কোনোক্রমেই সম্ভব নয়।

গত ২৬ মে দিবাগত রাত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান করছেন ছাত্রলীগের কমিটিতে পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া অংশের সদস্যরা। ৫ জুন পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনেও তাঁরা সেখানে অবস্থান করেছেন। তাঁদের চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ এবং মধুর ক্যানটিন ও টিএসসিতে পদবঞ্চিতদের ওপর হামলার সুষ্ঠু বিচার।

রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থানরতদের সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো সম্পর্ক নেই—জাহাঙ্গীর কবির নানকের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় পদবঞ্চিতদের মুখপাত্র ছাত্রলীগের সাবেক কর্মসূচি ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘নানক ভাই আমাদের শ্রদ্ধেয় নেতা। তিনি কেন এ ধরনের মন্তব্য করেছেন, জানি না। তবে তাঁর এমন মন্তব্য আমাদের দুঃখ দিয়েছে। শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আমরা রাজপথে ছিলাম।’

পদবঞ্চিতরা ভুল পথে আছেন—জাহাঙ্গীর কবির নানকের এই মন্তব্যের বিষয়ে রাকিব বলেন, তাঁরা সঠিক পথেই আছেন। তাঁদের আন্দোলনের মুখে ১৯ জনের পদ শূন্য ঘোষণা তা-ই প্রমাণ করে। দাবি আদায় না হলে শিগগির আমরণ অনশনে যাবেন বলেও তিনি জানান।

অবস্থান কর্মসূচিতে থাকা ছাত্রলীগের সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপসম্পাদক আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘নানক ভাই দলীয় ফোরামে আলোচনার কথা বলেছেন। সেটি অবশ্যই সঠিক। আমরা দলীয় ফোরামে আলোচনার জন্য গিয়েছিলামও। কিন্তু সেদিন (১৯ মে) টিএসসিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা আমাদের ওপর হামলা চালান। ওই হামলার পর বাধ্য হয়ে নানক ভাইয়ের কাছে আমরা আমাদের অভিযোগগুলো দিয়ে এসেছিলাম। এখন তিনি যদি এমন কথা বলেন, তাতে আমরা হতাশ ও মর্মাহত।’