রাস্তার কাজে অনিয়ম প্রশাসনে অভিযোগ

রাস্তার কাজ শেষ না হতেই উঠে গেছে বিটুমিন। বেরিয়ে এসেছে ইটের খোয়া। গতকাল ভালুকা-গফরগাঁও সড়কের নন্দীবাড়ি থেকে জোনাকীর টেক রাস্তায়।  ছবি: প্রথম আলো
রাস্তার কাজ শেষ না হতেই উঠে গেছে বিটুমিন। বেরিয়ে এসেছে ইটের খোয়া। গতকাল ভালুকা-গফরগাঁও সড়কের নন্দীবাড়ি থেকে জোনাকীর টেক রাস্তায়। ছবি: প্রথম আলো

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় এক কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তা পাকাকরণের কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় ৬৭ জন বাসিন্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঈদুল ফিতরের তিন আগে রাস্তার কাজ শেষ করা হয়েছে।

লিখিত অভিযোগ, উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৬৭ লাখ টাকা ব্যয় ধরে ভালুকা-গফরগাঁও সড়কের নন্দীবাড়ি থেকে জোনাকীর টেক রাস্তার শেষ অংশ গোয়ারী ওয়াহেদ কেরানির বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার রাস্তার পাকাকরণের কাজ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তৃপ্তি স্টিল বিতান। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি তিন মাস ধরে রাস্তার কাজ করে ঈদের তিন দিন আগে শেষ করে। কাজ শেষ করার পরপরই বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দেয়। এতে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে ইউএনওর পাশাপাশি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের কাছেও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

গত সোমবার দুপুরে সরেজমিন গেলে বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, রাস্তাটি নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে। নিম্নমানের ইট, সুরকি ব্যবহার করা হয়েছে। রাস্তায় পিচ–ঢালাইয়ের আগে ঠিকমতো পরিষ্কার করা হয়নি। খড় ও ময়লার ওপর অল্প পরিমাণে বিটুমিন দিয়ে কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ করা হয়েছে। এ কারণে কাজ শেষ হতে না হতেই কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে।

তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক আরিফ রব্বানী দাবি করেন, রাস্তাটি নির্মাণে কোনো নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি। এ রাস্তা দিয়েই তাঁদের গ্রামের বাড়িতে যেতে হয়। তাই যত দূর সম্ভব ভালো কাজ করার চেষ্টা করেছেন। উপজেলা প্রকৌশলী ফরিদুল ইসলামও একই দাবি করে বলেন, রাস্তা নির্মাণে কোনো ধরনের অনিয়ম হয়েছে, তা তাঁর কাছে মনে হয়নি।