লক্ষ্মীপুর মডেল থানার ওসিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। আজ বুধবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের (সদর) আমলি আদালতে সদর উপজেলার এক বাসিন্দা এ মামলা করেন।

থানায় আটক রেখে টাকা ও চেক নেওয়ার অভিযোগে ওই মামলা হয়েছে। মামলার বাদী উপজেলার চরভূতা গ্রামের হারুনুর রশিদ। এতে প্রধান আসামি করা হয়েছে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইয়াকুব আলীকে। অপর আসামি লক্ষ্মীপুর পৌর হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ী আবদুল আজিজ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ১ জুন ব্যবসায়ী আবদুল আজিজের অভিযোগের ভিত্তিতে হারুনুর রশিদকে (বাদী) সদর থানায় মুঠোফোনে ডেকে নেয় পুলিশ। এ সময় আজিজের ৩ লাখ টাকা পরিশোধের জন্য এসআই ইয়াকুব হুমকি দেন হারুনকে। ওই টাকা না দিলে হারুন ও তাঁর ছেলেদের ডাকাতিসহ বিভিন্ন মামলার আসামি করে হাজতে পাঠানোর হুমকি দেওয়া হয়। কিন্তু আজিজের সঙ্গে হারুনের কোনো লেনদেন নেই। এমনকি হারুন তাঁকে চিনেনও না বলে এজাহারে উল্লেখ করেন।

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, একপর্যায়ে ওসি লোকমান হোসেনের নির্দেশে হারুনকে থানাহাজতে রাখা হয়। এ সময় হারুনকে ছেলে শাহিন উদ্দিনের কাছে ফোন করতে বাধ্য করে ১ লাখ টাকা ও ব্যাংকের চেক নিয়ে আসতে বলেন এসআই ইয়াকুব। পরে শাহিনের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা, জোর করে চেকে ও সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন ইয়াকুব।

বাদীর আইনজীবী তাছলিম আলম তছলিম বলেন, বিচারক রায়হান চৌধুরী মামলাটি আমলে নিয়েছেন। তিনি নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন, গত ২৯ মে হারুনদের বিরুদ্ধে ৩ লাখ টাকা পাওনার ঘটনায় আবদুল আজিজ থানায় অভিযোগ করেছিলেন। পরে উভয় পক্ষকে থানায় ডাকা হয়। হারুনের কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকা আদায় ও বাধ্য করা হয়নি। তাঁর অভিযোগ সঠিক নয়।