১০ বছরে সড়কে ঝরেছে সাড়ে ২৫ হাজার প্রাণ

ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গত ১০ বছরে (২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের এপ্রিল) সড়ক দুর্ঘটনায় ২৫ হাজার ৫২৬ জন মানুষ নিহত হয়েছেন। এ সময়ে আহত হয়েছেন ১৯ হাজার ৭৬৩ জন।

আজ বুধবার জাতীয় সংসদে বিএনপির সাংসদ হারুনুর রশীদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এই তথ্য জানান। মন্ত্রীর তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সরকারি হিসাবে প্রতিদিন গড়ে ৭ জন মানুষের প্রাণ যাচ্ছে সড়ক দুর্ঘটনায়।
বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সাংসদ মুজিবুল হক এক সম্পূরক প্রশ্নে বলেন, এবার ঈদে ১২ দিনে ১৮৫টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। তিনি জানতে চান সড়ক পরিবহন আইন দ্রুত কার্যকর করা হবে কি না। তবে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সরাসরি এ প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়টি দুর্ভাবনার বিষয়। কিন্তু দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে দেয়। বিভিন্ন ধরনের হিসাব আছে। এর সংখ্যা ৪৬ থেকে ৬৬টি। দুর্ঘটনা এবার কম হয়েছে। কিন্তু মৃত্যুর হার বেড়েছে। এর কারণ ছোট ছোট যানগুলো যখন শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে মহাসড়কে আসে বড় গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণহানি বাড়ে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়কের জন্য এখন কিন্তু দুর্ঘটনা বেশি ঘটছে তা নয়। রাস্তা এখন অনেক ভালো। ইতিহাসের সবচেয়ে নিরাপদ। সমস্যা মানসিকতার। মানসিক পুনর্গঠন দরকার। সবাই সচেতন হলে দুর্ঘটনা কমে আসবে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, দায়িত্ব পালনে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা আছে, কিছু ক্ষেত্রে অবহেলাও আছে। তবে, যথাযথভাবে আইন প্রয়োগ করার জন্য প্রয়াস অব্যাহত আছে।
আওয়ামী লীগের সাংসদ মো. সেলিমের প্রশ্নের জবাবে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, সরকারি পাটকলগুলোতে অবিক্রীত পাটজাত পণ্যের পরিমাণ ৭৭ হাজার ৭১৩ মেট্রিক টন। এগুলোর বর্তমান বাজার মূল্য ৬২১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। সুদান সরকারের চাহিদায় বিশেষ আকারের পাটের বস্তা তৈরি করা হলেও সুদান সরকার সেগুলো এখন পর্যন্ত গ্রহণ করেনি।
সংরক্ষিত আসনের লুৎফুন নেসা খানের প্রশ্নের জবাবে পাটমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোতে গ্র্যাচুইটি ও প্রভিডেন্ট ফান্ড বাবদ বকেয়ার পরিমাণ ৬২৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় এসব বকেয়া পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।