পরোয়ানা দ্রুততার সঙ্গে তামিল করার নির্দেশ আইজিপির

পুলিশের মহাপরিদর্শক মো. জাবেদ পাটোয়ারী। ফাইল ছবি
পুলিশের মহাপরিদর্শক মো. জাবেদ পাটোয়ারী। ফাইল ছবি

আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেও পুলিশ তামিল করে না, এই অভিযোগ পুরোনো। ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের পরোয়ানা প্রথমে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল, খুঁজে পাওয়ার পরও তামিল হয়নি। এর মধ্যেই আজ বুধবার পুলিশের মহাপরিদর্শক মো. জাবেদ পাটোয়ারী গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিলে মনোযোগী হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বাহিনীর সদস্যদের।

পুলিশ সদর দপ্তরে ত্রৈমাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় বুধবার। সভা সূত্রে জানা গেছে, আইজিপি পরোয়ানা তামিলের হার বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। সভায় পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি, মহানগর পুলিশ কমিশনার ও জেলার পুলিশ সুপাররা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা জানিয়েছেন, মোয়াজ্জেমকে গ্রেপ্তারের ‘সর্বাত্মক চেষ্টা’ চলছে।

ডাকাতি মামলা রুজু করা নিয়ে পুলিশের অনীহা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আইজিপি। এ নিয়ে ফেনীর সাবেক এসপিকে তিনি তিরস্কারও করেন। খুন, ডাকাতি, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন আইজিপি।

সভায় ১৮ জুন দেশে ৭ জেলার ২২ উপজেলায় নির্বাচনে পুলিশকে নিরপেক্ষ থাকতে বলেছেন আইজিপি। মানুষ যেন ভোট দিতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে বলেছেন তিনি। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও পুলিশ সুপারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আইজিপি।

জঙ্গি তৎপরতা রোধে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট স্থাপন ও ব্লক রেইড পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. জাবেদ পাটোয়ারী। আইজিপি জঙ্গিদের সম্পর্কে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে বলেছেন। তা ছাড়া বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে কর্মরত ও দেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

গত পয়লা বৈশাখ, বুদ্ধপূর্ণিমা, রমজান এবং ঈদুল ফিতর সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপিত হয়েছে বলে সভায় জানান আইজিপি। তিনি বলেন, বর্তমানে সামগ্রিকভাবে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যন্ত সন্তোষজনক। এ অবস্থা ধরে রাখতে পেশাদারি ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

সভায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) এম খুরশীদ হোসেন গত ৩ মাসের (জানুয়ারি-মার্চ ২০১৯) সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। সভায় অপহরণ, খুন, ডাকাতি, ছিনতাই, অ্যাসিড নিক্ষেপ, ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতন, মাদকদ্রব্য চোরাচালান, অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার, সড়ক দুর্ঘটনা, গাড়ি চুরি, রাজনৈতিক সহিংসতা, অপমৃত্যু, পুলিশ আক্রান্ত মামলাসহ দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়।