সেতু নেই, সাঁকোটিও ভেঙে গেল

ডয়কা নদীতে সেতু নেই। বাঁশের সাঁকোটিও ভেঙে পড়ায় দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ।  ছবি: সংগৃহীত
ডয়কা নদীতে সেতু নেই। বাঁশের সাঁকোটিও ভেঙে পড়ায় দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার টেঙ্গাপাড়া গ্রামে ডয়কা নদীর ওপর থাকা বাঁশের সাঁকোটি সম্প্রতি ভেঙে পড়েছে। এ কারণে গৌরীপুর ও পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার প্রায় ১৫ গ্রামের মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

ডয়কা নদী গৌরীপুরের সহনাটি ইউনিয়নের টেঙ্গাপাড়া গ্রাম ও ঈশ্বরগঞ্জের সোহাগী ইউনিয়নের মাইজহাটি গ্রামের মাঝখানে অবস্থিত। নদীর দুই পারে দুই উপজেলার প্রায় ১৫ গ্রামে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের বসবাস। ডয়কা নদীর ওপর সাঁকোটি ভেঙে পড়ায় সবাই দুর্ভোগে পড়েছে।

টেঙ্গাপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা জানান, ডয়কা নদীতে ২০১৭ সালের গ্রামবাসীর চাঁদার টাকায় একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। সাঁকোটি দিয়ে শুকনো মৌসুমে মানুষ চলাচল করে। বর্ষাকালে নদীতে পানি বাড়লে সাঁকো দিয়ে চলাচল করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠায় তখন নৌকা দিয়ে মানুষ চলাচল করে অথবা প্রায় ১০ কিলোমিটার পথ ঘুরে বিকল্প পথে মানুষ যাতায়াত করে। সম্প্রতি গ্রামবাসীর চাঁদার টাকায় নির্মাণ করা বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে পড়েছে। এ কারণে ওই সাঁকো দিয়ে পারাপার ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় নৌকা দিয়ে পারাপার করছে মানুষ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ডয়কা নদীর পূর্ব পারে গৌরীপুরের টেঙ্গাপাড়া গ্রাম আর পশ্চিম পারে ঈশ্বরগঞ্জের মাইজহাটি গ্রাম। নদীতে সেতু না থাকায় স্বাধীনতার পর থেকেই গৌরীপুরের টেঙ্গাপাড়া, পল্টিপাড়া, সানিয়াপাড়া, শাহবাজপুর, ধোপাজাঙ্গালিয়া, বড়ইবাড়ি, মাসকান্দা এবং ঈশ্বরগঞ্জের মাইজহাটি, জিগাতলা, সোহাগী, মমরুজপুরসহ ১৫ গ্রামের মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট নৌকা দিয়ে পারাপার হতো। ২০১৭ সালে নদীর তীরবর্তী গৌরীপুরের কয়েকটি গ্রামের মানুষ চাঁদা তুলে দুই লাখ টাকা খরচ করে বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করে। এতে নদী পারাপার সহজ হয়েছিল। সম্প্রতি সাঁকোটি ভেঙে পড়ায় আবারও পারাপার ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ছোট একটি নৌকায় করে প্রতিদিন শত শত মানুষকে নদী পারাপার করতে হচ্ছে। এতে নদীর দুই পারের মানুষকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিরা নৌকার জন্য অপেক্ষা করে ক্লান্ত হয়ে পড়ে।

টেঙ্গাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এখলাস উদ্দিন বলেন, ‘গ্রামবাসীর চাঁদার টাকার সাঁকোটি ভেঙে পড়েছে। আমরা এখন এখানে পাকা সেতু চাই। একটি সেতু নির্মাণ করা হলে মানুষ নিরাপদে নদী পার হতে পারবে।’

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের গৌরীপুর উপজেলা প্রকৌশলী আবু সালেহ মো. ওয়াহিদুল হক বলেন, ‘বিষয়টি মৌখিকভাবে জেনেছি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা লিখিতভাবে প্রস্তাব দেননি।’

গৌরীপুর উপজেলার সহনাটি ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান বলেন, গ্রামবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এখানে সেতুর সংযোগ সড়ক করে দিয়েছেন। এবার সেতুর জন্যও লিখিত প্রস্তাব দেবেন।