রাজশাহীর পর্যটন উন্নয়নে ইন্দোনেশিয়ার আগ্রহ

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত রিনা পি সোয়েমারনো সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন। ছবি: প্রথম আলো
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত রিনা পি সোয়েমারনো সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন। ছবি: প্রথম আলো

রাজশাহীর পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত রিনা পি সোয়েমারনো আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে নগর ভবনে বৈঠকে তিনি এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।

ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত রাজশাহীর শিক্ষা, কৃষি ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের কথা জানিয়েছেন। বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করায় ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান মেয়র।

ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত রিনা পি সোয়েমারনো ও তাঁর সহযোগীদের নগরভবনে বর্ণিল আয়োজনে বরণ করে নেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘এটি আমার প্রথম রাজশাহী সফর। এখানকার চমৎকার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ দেখে আমি মুগ্ধ। এখানকার মানুষদের ভালো লেগেছে। এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে।’

মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন সাংবাদিকদের বলেন, ইন্দোনেশিয়া বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র। ইন্দোনেশিয়ার রাজস্বের ২৫ শতাংশ আসে পর্যটন থেকে। রাজশাহীর পর্যটনের উন্নয়নে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত। তিনি আরও বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়ার যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ একটি শহরের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক উন্নয়ন ও পারস্পরিক সহযোগিতার লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হবে। এর মাধ্যমে দুই শহরের মধ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা বিনিময় হতে পারে। বাংলাদেশের ছাত্র-শিক্ষকেরা ইন্দোনেশিয়ায় যাবেন, ইন্দোনেশিয়া থেকে এখানে আসবেন।’

মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘রাজশাহীর সিল্কের প্রতি ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত অনেক বেশি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আমরা রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে যদি সিল্ক সরবরাহ করতে পারি, তাহলে তারা নেবেন।’

বৈঠক শেষে নগরভবনের বঙ্গবন্ধুর কর্নার ঘুরে দেখেন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। পরিদর্শন শেষে পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিখেন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত।