গাছে বেঁধে গৃহবধূ নির্যাতন মামলার আসামি কারাগারে

শেরপুরের নকলায় গৃহবধূ ডলি খানমকে (২২) গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেপ্তার নাসিমা আক্তারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার বিকেলে শেরপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. শরীফুল ইসলাম খান এ আদেশ দেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে নকলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. সজীব রহমান পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ নাসিমাকে আদালতে সোপর্দ করেন। আদালত আগামী রোববার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেছেন। গত বুধবার দুপুরে নাসিমাকে গ্রেপ্তার পুলিশ। আদালত পুলিশের উপপরিদর্শক(এসআই) মো. আনিসুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে ময়মনসিংহ রেঞ্জ পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. আক্কাছ উদ্দিন ভূঁইয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি নির্যাতনের শিকার ডলি ও তাঁর স্বামী শফিউল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি ডলি ও শাফিউল্লাহকে ন্যায়বিচার পাওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।

পরিদর্শন শেষে অতিরিক্ত ডিআইজি আক্কাছ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটির প্রধান হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আমিনুল ইসলাম। তিনি আরও বলেন, নির্যাতনের এ ঘটনায় কোনো পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনে অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ ওঠায় নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ ও উপপরিদর্শক (এসআই) ওমর ফারুককে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। তবে মামলার অন্যতম আসামি নেছারউদ্দিন সেনাসদস্য হওয়ায় দাপ্তরিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাঁকে আইনের আওতায় আনা হবে।

উল্লেখ্য, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে গত ১০ মে নকলার কায়দা এলাকায় গাছে বেঁধে ডলির ওপর নির্যাতন চালানো হয়। নির্যাতনের ফলে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ডলির গর্ভপাত ঘটে। এ ঘটনায় ডলি বাদী হয়ে নকলা থানায় ও তাঁর স্বামী শফিউল্লাহ বাদী হয়ে শেরপুরের সিআর আমলি আদালতে দুটি পৃথক মামলা করেন।