এ বাজেট ধনীকে আরও ধনী, গরিব-মধ্যবিত্তকে অসহায় করে তুলবে: সিপিবি

সিপিবি
সিপিবি

জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটকে সাম্রাজ্যবাদ ও ধনীদের স্বার্থরক্ষাকারী বাজেট বলে আখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। তারা বলছে, এ বাজেট ধনীকে আরও ধনী ও গরিব-মধ্যবিত্তকে অসহায় করে তুলবে। এই বাজেট প্রত্যাহার করে প্রগতিশীল বাজেট প্রণয়নের দাবি জানায় সিপিবি।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের মোট ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করা হয়েছে। বাজেটে মোট ঘাটতি ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা। বাজেট নিয়ে এক বিবৃতি দিয়েছে সিপিবি।

বিবৃতিতে সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম বাজেটকে গতানুগতিক আখ্যা দিয়ে বলেন, দেশের ৯৯ শতাংশ মানুষের পরিশ্রমের বিনিময়ে অর্থনীতির যে প্রবৃদ্ধি ঘটছে, তার মাত্র ১ শতাংশ তাদের এবং ৯৯ শতাংশই ১ শতাংশ ধনিকদের পকেটস্থ করা হয়েছে। তাঁরা বলেন, এ বাজেট ধনীদের আরও ধনী করবে এবং গরিব-মধ্যবিত্তকে আপেক্ষিকভাবে আরও দরিদ্র ও আর্থিকভাবে অসহায় করে তুলবে। বাজেটকে ‘সাম্রাজ্যবাদ ও লুটেরা ধনিক শ্রেণির স্বার্থরক্ষার গণবিরোধী দলিল’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাখ্যান করেন তাঁরা।

বিবৃতিতে সিপিবি জানায়, এবারের বাজেটের আকার যেমন স্মরণকালের সর্বোচ্চ, তেমনি ঘাটতির পরিমাণও সবচেয়ে বেশি। বাজেট প্রস্তাবে রাজস্ব আহরণের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা কীভাবে অর্জিত হবে তা সুস্পষ্ট নয়। এই বিপুল পরিমাণ বাজেট ঘাটতি মেটানোর জন্য বিশাল ঋণের বোঝা চাপানো হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান ইত্যাদি ক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃদ্ধির দাবি অগ্রাহ্য করা হয়েছে।

বাজেটকে অনির্ভরযোগ্য ও অবাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাবে পরিণত করা হয়েছে জানিয়ে সিপিবি নেতারা বলেন, বাজেটের তথ্য ভিত্তির বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে। তাঁরা এ বাজেট প্রত্যাহার করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমাজতন্ত্র, দরিদ্র জনগণের স্বার্থ প্রতিষ্ঠা ও প্রগতিশীল বাজেট প্রণয়নের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।