স্বামীকে হত্যায় দ্বিতীয় স্ত্রীর 'ঠান্ডা মাথার' পরিকল্পনা

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

ময়মনসিংহে প্রথম স্ত্রীকে তালাক না দেওয়ায় স্বামী শফিকুল ইসলাম ওরফে শপুকে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন দ্বিতীয় স্ত্রী আফরোজা শেখ ওরফে ইতি। গতকাল শুক্রবার ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এ তথ্য জানায়।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ময়মনসিংহ নগরের হাবুন ব্যাপারী মোড় এলাকার আবর্জনার স্তূপ থেকে পুলিশ শফিকুল ইসলামের (২৫) লাশ উদ্ধার করে। গত সোমবার থেকে শফিকুল ইসলাম নিখোঁজ ছিলেন বলে আফরোজা কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

নিহত শফিকুল ইসলামের বাড়ি ময়মনসিংহ নগরের বাঁশবাড়ি কলোনিতে। পাঁচ বছর আগে শফিকুল প্রথম স্ত্রী মাহমুদাকে বিয়ে করেন। ১৫ মাস আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেন আফরোজাকে। প্রথম স্ত্রী মাহমুদার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটাবেন বলে দ্বিতীয় বিয়ের সময় আফরোজাকে বলেছিলেন শফিকুল। কিন্তু বিবাহবিচ্ছেদ না ঘটানোয় আফরোজা শফিকুলকে হত্যা করেন বলে জবানবন্দিতে জানিয়েছেন।

ডিবি সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার আফরোজার বাড়ির কাছাকাছি এলাকা থেকে শফিকুলের লাশ উদ্ধার করা হয়। আফরোজাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। গতকাল আফরোজাকে ময়মনসিংহের ১ নম্বর আমলি আদালতে হাজির করা হলে তিনি স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার করা স্বীকার করেন। জবানবন্দিতে আফরোজা বলেন, শর্ত মেনে শফিকুল ইসলাম প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেননি। উল্টো সাম্প্রতিক সময়ে মাহমুদার সঙ্গে স্বামীর সম্পর্ক আরও ভালো হয়। মাহমুদার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হওয়ায় আফরোজাকে তালাক দেওয়ার হুমকি দেন শফিকুল। গত সোমবার রাতে শফিকুল আকুয়া এলাকার বাড়িতে ঘুমান। আফরোজা তাঁকে হত্যার পর বিছানার চাদর দিয়ে মুড়িয়ে ওই পরিত্যক্ত স্থানে ফেলে রাখেন।

শফিকুলের মা নুরুন্নাহার বাদী হয়ে আফরোজা শেখ, আফরোজার ভাই দীন ইসলাম ও অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন।

ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, স্বীকারোক্তির পর আফরোজা শেখকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।