মাদক মামলায় ছয়জন কারাগারে

ইয়াবা বড়ি। ফাইল ছবি
ইয়াবা বড়ি। ফাইল ছবি

বাসে করে মাদক আনার সময় গ্রেপ্তার ছয় মাদক ব্যবসায়ীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত আজ শনিবার এই আদেশ দেন। এর আগে উত্তরা পূর্ব থানার পুলিশ এক দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছয় আসামিকে আদালতে হাজির করে।

ছয় আসামি হলেন গাজীপুরের জয়দেবপুরের সালনা বাজার গ্রামের মো. সাইদুল ইসলাম (২৩), মো. মিঠু (২৮), আনোয়ার (৩২), জুবায়ের আহম্মেদ (২৮), খায়রুল ইসলাম (২৮) এবং শেরপুরের রামপুর বাজারের আসাদ হোসেন (৩৫)।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পূর্ব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন আজ শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, ছয় মাদক ব্যবসায়ীকে আদালতের অনুমতি নিয়ে এক দিনের রিমান্ডে নেন। রিমান্ড শেষে আজ তাঁদের ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়েছে।

উত্তরা পূর্ব থানার পুলিশ ঢাকার আদালতকে প্রতিবেদন দিয়ে জানিয়েছে, আসামিরা সংঘবদ্ধ মাদক ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরে আসামিরা কক্সবাজার থেকে সড়কপথে ঢাকা ও গাজীপুরে ইয়াবা নিয়ে আসছেন।

১১ জুন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পশ্চিম পাশে উত্তরা মডেল টাউনের চুংহুয়া অ্যালুমিনিয়াম দোকানের সামনে মিয়ামী পরিবহন নামের একটি বাস থামানো হয়। ওই বাস থেকে আসামি সাইদুল, মিঠু ও আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব-১) সদস্যরা। এ ঘটনায় র‍্যাব-১–এর পরিদর্শক মোহাম্মদ জুলহাস মিয়া বাদী হয়ে সাতজন মাদক ব্যবসায়ীর নাম উল্লেখ করে উত্তরা পূর্ব থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন।

মামলায় র‍্যাব কর্মকর্তা মোহাম্মদ জুলহাস মিয়া বলেন, মিয়ামী পরিবহনের বাস থেকে গ্রেপ্তার তিন আসামি সাইদুল, মিঠু ও আনোয়ার জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানায়, তাঁদের পেটের ভেতর ইয়াবা আছে। সাইদুলের পেটের ভেতর থেকে ১ হাজার ৫০টি ইয়াবা, মিঠুর পেটের ভেতর থেকে ২ হাজারটি ইয়াবা এবং আসাদের পেটের ভেতর থেকে ৯৩৫টি ইয়াবা জব্দ করা হয়।

মিয়ামী পরিবহনের চালক ও মামলার সাক্ষী গোলাম কিবরিয়া আজ শনিবার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, কক্সবাজার থেকে ওই তিন যাত্রী তাঁর বাসে ওঠেন। উত্তরায় আসার পর র‍্যাব বাস থেকে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। তিনজনই স্বীকার করেন, তাঁদের পেটে ইয়াবা আছে।

গোলাম কিবরিয়া বলেন, তিনি কিংবা বাসের কেউই বুঝতে পারেননি যে এই তিন যাত্রীর কাছে ইয়াবা আছে। অন্তত তিনবার রাস্তায় পুলিশ গাড়ি চেক করেছে। পেটের ভেতর ইয়াবা থাকায় কোথাও কেউ তাঁদের সন্দেহ করেনি।

তদন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, ছয় মাদক ব্যবসায়ীর পাঁচজনের বাড়িই গাজীপুরের সালনা বাজারে। আসামিদের আত্মীয়স্বজনেরাও জানিয়েছেন, সালনা বাজার এলাকায় অনেকেই ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত। গ্রেপ্তার আসামিরাও দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার থেকে ঢাকা ও গাজীপুরে ইয়াবা নিয়ে আসছেন। কক্সবাজারের জয়নাল নামের এক মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ইয়াবা কিনে আসামিরা বাসে করে ঢাকায় আসেন। ইয়াবার পাশাপাশি ছয় আসামির কাছ থেকে সাতটি মুঠোফোনও জব্দ করা হয়।