সমুদ্রে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হবে না

সমুদ্রে মাছ ধরার ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি উঠলেও এটি প্রত্যাহার কিংবা এর মেয়াদ কমছে না। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রইছউল আলম মণ্ডল এই ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মাছ ধরার এই নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত এককভাবে ঘরে বসে করা হয়নি। এটি মনগড়া কোনো সিদ্ধান্তও নয়।

চট্টগ্রামে এক কর্মশালায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রইছউল আলম মণ্ডল এ কথা বলেন। টেকসই উপকূলীয় এবং সামুদ্রিক মৎস্য প্রকল্পের সার্বিক অবস্থা ও বাস্তবায়ন কৌশল সম্পর্কে জানাতে শনিবার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস মিলনায়তনে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

সচিব বলেন, গবেষক-বিজ্ঞানী সবার সঙ্গে কথা বলেই নিষেধাজ্ঞার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার সময়ে জেলেদের জন্য কীভাবে টেকসই বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা যায় তার জন্য কাজ করছে সরকার। ২০১৫ সাল থেকে নিষেধাজ্ঞা চালু হলেও আমরা শুরুতে খাদ্য সহায়তা প্রকল্প চালু করতে পারিনি। এ বছর প্রথমবারের মতো ১২ জেলার ৪২ উপজেলার চার লাখ ১২ হাজার ৫০০ জেলে পরিবারকে ৪০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। এই বরাদ্দ যাতে সুষ্ঠুভাবে বণ্টন হয় সেদিকেও তদারকি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ৩৬৫ দিনের মধ্যে মাত্র ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ রাখা হয়েছে। এর সুফল সবাই পাবেন।

অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. নুরুল আলম নিজামীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো. রাশেদুল হক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. তৌফিকুল আরিফ। অন্যদের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজের অধ্যাপক সাইদুর রহমান চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ কামাল হোসেনসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, নৌকা মালিক সমিতির নেতা ও জেলেদের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।