মাগুরায় আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ১৫

মাগুরার মহম্মদপুরের ঘুল্লিয়া গ্রামে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় অর্ধশতাধিক বাড়ি ও দোকান ভাঙচুর এবং লুটের ঘটনা ঘটে। ঘুল্লিয়া, মহম্মদপুর, মাগুরা, ১৬ জুন। ছবি: প্রথম আলো
মাগুরার মহম্মদপুরের ঘুল্লিয়া গ্রামে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় অর্ধশতাধিক বাড়ি ও দোকান ভাঙচুর এবং লুটের ঘটনা ঘটে। ঘুল্লিয়া, মহম্মদপুর, মাগুরা, ১৬ জুন। ছবি: প্রথম আলো

মাগুরার মহম্মদপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিন পুলিশসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ ও দুজন অগ্নিদগ্ধ হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের ঘুল্লিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় অর্ধশতাধিক দোকান ও বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট এবং পাঁচটি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৪০টি গুলি করে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানিয়েছে, বিনোদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শিকদার মিজানুর রহমান এবং মহম্মদপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাকিবুল হোসেন পিকুলর সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে গতকাল বিকেলে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বিকেল ৪টা থেকে শুরু হয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে প্রায় রাত ৮টা পর্যন্ত।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষ ঠেকাতে তাদের ৪০টি গুলি ছুড়তে হয়। এ সময় দোকান ও বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হলে ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

সংঘর্ষে আহত চুন্নু মোল্ল্যা (৩৫), জিল্লুর খান (৪৫), গুলিবিদ্ধ শাহিনুর মোল্ল্যা (২৫) এবং অগ্নিদগ্ধ জিন্না ফকির (২৫) ও শান্ত বিশ্বাসকে (১৪) মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া সোহেল (১৫) নামে একজন মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

সংঘর্ষের বিষয়ে বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শিকদার মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সাহেব আলী নামে তাঁর এক সমর্থকের ওপর দুই দিন আগে হামলা চালান সাকিবুর রহমান পিকুলের সমর্থকেরা। গুরুতর আহত সাহেব আলী এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেই ঘটনার সুরাহা হওয়ার আগেই শনিবার তাঁরা আবার হামলা চালান। প্রতিরোধ করলে সংঘর্ষ শুরু হয়।

এ বিষয়ে সাকিবুল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁর মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, এলাকার পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে। পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর, কনস্টেবল আবদুর রহিম ও আনসার সদস্য গোলাম ইয়াসিন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করবে।