আদালতের হাজতখানায় সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম

সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন। ফাইল ছবি
সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন। ফাইল ছবি

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনকে ঢাকার আদালতে নেওয়া হয়েছে। তাঁকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়েছে। এই হাজতখানার কর্মকর্তা মইনুল ইসলাম আজ সোমবার দুপুরে প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্র বলছে, প্রিজনভ্যানে করে মোয়াজ্জেমকে দুপুর সাড়ে ১২টার পর ঢাকার আদালত চত্বরে আনা হয়। পরে তাঁকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। বেলা দুইটার দিকে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মোয়াজ্জেমকে ওঠানো হতে পারে।

সকাল থেকে আদালত এলাকায় পুলিশ ও গণমাধ্যমকর্মীদের ভিড় দেখা যায়।

ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেমকে গতকাল রোববার হাইকোর্ট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহানকে গত ৬ এপ্রিল পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করেন তাঁর মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। এর ১০ দিন আগে নুসরাত মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানাতে সোনাগাজী থানায় যান। থানার তৎকালীন ওসি মোয়াজ্জেম সে সময় নুসরাতকে আপত্তিকর প্রশ্ন করে বিব্রত করেন। এবং তা ভিডিও করে ছড়িয়ে দেন। এ ঘটনায় মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সাইয়েদুল হক। মামলা হলে আদালতের নির্দেশে সেটি তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পিবিআই গত ২৭ মে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।

ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল গত ২৭ মে মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন। ৩১ মে পরোয়ানার চিঠি ফেনীর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে পৌঁছায়। কিন্তু পুলিশ সুপার কাজী মনির-উজ-জামান বারবার বিষয়টি অস্বীকার করতে থাকেন। একপর্যায়ে ৩ জুন রাতে পরোয়ানা হাতে পাওয়ার কথা স্বীকার করেন তিনি। এর দুই দিন পর বিশেষ বার্তাবাহকের মাধ্যমে পরোয়ানা রংপুর রেঞ্জে পাঠানো হয়। তখন আবার রংপুর রেঞ্জ বলে, কাজটি বিধি মোতাবেক হয়নি।

পুলিশের এই গড়িমসির সুযোগে মোয়াজ্জেম সটকে পড়েন। পরোয়ানার ২০ দিন পর গতকাল ওসি মোয়াজ্জেম গ্রেপ্তার হন।