সহকর্মীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ব্যক্তি গ্রেপ্তার

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় খাবার হোটেলের সহকর্মীর স্ত্রীকে (২৪) ধর্ষণের অভিযোগে বাবুর্চিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধর্ষণের শিকার নারীর অভিযোগ, গত ১৪ মে তাঁকে ধর্ষণ করেন রোকন খাঁ (৩০) নামের ওই বাবুর্চি।

গতকাল রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে গোয়ালন্দের ছোটভাকলা ইউনিয়নের কাটাখালী এলাকা থেকে রোকনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলার এজাহার ও ধর্ষণের শিকার নারীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় একটি খাবার হোটেলে ওই নারীর স্বামী এবং বাবুর্চি রোকন খাঁ দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে কাজ করেন। কাজের সুবাদে দুজনের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মাঝেমধ্যে রোকন ওই সহকর্মীর বাসায় যাতায়াত করতেন। এমনকি তিনি সহকর্মীর স্ত্রীকে ‘ধর্ম বোন’ বলে ডাকতেন।

গত ১৪ মে জরুরি কাজে গ্রামের বাড়ি যান ওই নারীর স্বামী। ঘটনাটি জেনে ওই দিন রাত সাড়ে নয়টার দিকে রোকন সহকর্মীর বাসায় যান। একপর্যায়ে গৃহবধূকে বেঁধে ধর্ষণ করেন। গৃহবধূ চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ওই বাড়িতে ছুটে আসেন। তাঁদের কাছে বিষয়টি খুলে বললে হোটেলমালিক ঘটনাটি মোবাইলে গৃহবধূর স্বামীকে জানান। খবর পেয়ে তিনি বাসায় ফিরে এসে স্ত্রীকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করান। চিকিৎসা শেষে ১৯ মে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরে গৃহবধূ বাদী হয়ে গত ২২ মে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় রোকন খাঁকে আসামি করে মামলা করেন।

ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে রোকন খাঁ আজ সোমবার বলেন, ‘তাঁদের সঙ্গে আমার পারিবারিকভাবে ভালো সম্পর্ক। তুচ্ছ একটি বিষয় নিয়ে ঝগড়া হওয়ায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে।’ এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি বলেও তিনি দাবি করেন।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এজাজ শফী জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান রোববার রাতে রোকন খাঁকে গ্রেপ্তার করেন। সোমবার দুপুরে রাজবাড়ীর মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে পাঠানো হয়েছে।