উড়োজাহাজে লেজার নিক্ষেপ শাস্তিযোগ্য অপরাধ

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ফাইল ছবি
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ফাইল ছবি

সম্প্রতি দেশের বিমানবন্দরগুলোতে উড়োজাহাজ ওঠানামার সময় লেজার নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। লেজার নিক্ষেপ উড়োজাহাজ চলাচলের নিরাপত্তায় হুমকিস্বরূপ উল্লেখ করে এ কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য সবাইকে অনুরোধ করেছে বেবিচক।

আজ সোমবার বেবিচকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বেবিচক বলেছে, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বাংলাদেশের বিমানবন্দরে ওঠানামা করার সময় উড়োজাহাজ লক্ষ্যে করে শক্তিশালী লেজার নিক্ষেপ করা হচ্ছে। এসব লেজার ককপিটে বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। একই সঙ্গে লেজার উড়োজাহাজ নিয়ন্ত্রণে পাইলটের জন্য মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করছে। এসব কাজ চলাচলরত উড়োজাহাজের নিরাপত্তায় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল আইন অনুসারে এ ধরনের কর্মকাণ্ড শাস্তিযোগ্য এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।

বেবিচক বিজ্ঞপ্তিতে উড়োজাহাজের নিরাপদ উড্ডয়ন ও অবতরণ নিশ্চিত করার স্বার্থে সবার সহযোগিতা কামনা করছে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি এ ধরনের কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্যও সবাইকে অনুরোধ করেছে।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল সূত্রে জানা গেছে, দেশের প্রধান এই বিমানবন্দরের আশপাশের বাসাবাড়িগুলো থেকে উড়োজাহাজ ওঠানামার সময় লেজার নিক্ষেপের ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে রাতের বেলা উড়োজাহাজের ককপিট লক্ষ্য করে লেজার নিক্ষেপ করা হয়। লেজার নিক্ষেপের এমন অভিযোগ প্রায়ই কন্ট্রোল রুমে জানাচ্ছেন পাইলটেরা।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দর ও তুরাগ থানা-পুলিশকে জানিয়েছে, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকার বাউনিয়া বাঁধ ও নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে এই লেজার নিক্ষেপ করা হচ্ছে।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা একটি সূত্র জানায়, গত শুক্রবার রাতে একটি উড়োজাহাজ অবতরণের সময় লেজার নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এমন অভিযোগ পেয়ে বাউনিয়া বাঁধ এলাকায় টহল দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি দল। পরে দেখা যায়, একটি বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। সেখান থেকে লেজার উড়োজাহাজের ওপর এসে পড়ে।

বিমানবন্দর থানা সূত্রে জানা গেছে, গত তিন বছরে উড়োজাহাজের ওপর প্রায় আট বার লেজার নিক্ষেপের অভিযোগ করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া বিমানবন্দর সংলগ্ন তুরাগ থানায়ও একই অভিযোগ করেছে তারা।

তুরাগ থানার ওসি নূরুল মুত্তাকিম প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনা বন্ধের জন্য এলাকাবাসীকে সচেতন করতে মসজিদের মাধ্যমের মাইকিং করা হচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িত লোকজনকে ধরার চেষ্টা চলছে। তবে এখনো পর্যন্ত কেউ আটক করা যায়নি।