বিএনপি কেন 'প্রকৃত' বিরোধী দল, জানালেন হারুন

সাংসদ হারুনুর রশীদ। ফাইল ছবি
সাংসদ হারুনুর রশীদ। ফাইল ছবি

সংসদে প্রকৃত বিরোধী দল বিএনপিই বলে দাবি করেছেন দলটির সাংসদ হারুনুর রশীদ। তিনি বলেন, ‘আমরাই প্রকৃত বিরোধী দল। কারণ, গা বাঁচিয়ে আমরা কথা বলি না।’

গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদে ২০১৮–১৯ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন হারুনুর রশীদ। এ সময় সরকারি দল ও জাতীয় পার্টির (জাপা) সদস্যরা হইচই করে তাঁর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান।

একাদশ জাতীয় সংসদে চারটি সংরক্ষিত নারী আসনসহ ২৬টি আসন নিয়ে প্রধান বিরোধী দল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের মিত্র জাতীয় পার্টি (জাপা)। অন্যদিকে একটি নারী আসনসহ বিএনপির আসন ৬টি। আর বিএনপি জোটের শরিক গণফোরামের আছেন দুজন সাংসদ। গত দশম সংসদেও বিরোধী দলের ভূমিকায় ছিল জাপা। একই সঙ্গে তারা সরকারেও ছিল। এবার দলটি সরকারে নেই। বিএনপি জাপাকে গৃহপালিত বিরোধী দল বলে উল্লেখ করে আসছে।

গতকাল ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বিএনপির সাংসদ হারুনুর অর রশীদ বলেন, ‘আপনি যেভাবেই বিরোধী দল সাজান না কেন, মহাজোটের অংশীদারদের দিয়েও সাজান না কেনÑ তাতে কোনো লাভ হবে না। আমরাই প্রকৃত বিরোধী দল।’

এ সময় জাতীয় পার্টির সদস্যরা হইচই করে তাঁর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান। তখন তিনি মহাজোটের শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুর নাম উল্লেখ করে কিছু একটা বলতে চান। কিন্তু বক্তব্যের নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ায় মাইক বন্ধ হয়ে যায়।

এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মঞ্জুরির দাবিতে ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় হারুন বলেন, সারা দেশে বিএনপিদলীয় নেতা–কর্মীরা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গায়েবি মামলার শিকার হচ্ছেন। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গায়েবি মামলা বলে কিছু নেই। বন্দুকযুদ্ধের নামে বিনা বিচারে হত্যা চলছে। আলোচিত খুনের ঘটনার কোনো কূলকিনারা হচ্ছে না।

জাতীয় পার্টির সাংসদ কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, জঙ্গি ও মাদক দমনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনেকটা সফল হয়েছেন। কিন্তু নারী ও শিশু ধর্ষণ, হত্যা, নির্যাতন—এসব ক্ষেত্রে ব্যর্থতা বেশি। তিনি ক্রসফায়ার দেওয়ার দাবি করছেন না, তবে জঙ্গি ও মাদকবিরোধী অভিযানের মতো না হলে হত্যা–ধর্ষণ বন্ধ হবে না। জঙ্গিবাদ ও মাদক যেভাবে দমন করা হচ্ছে, এ ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা নিতে হবে।

এসবের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, গায়েবি মামলা বলতে কিছু নেই। প্রতিটি ঘটনার সুনির্দিষ্ট বাদী রয়েছেন, সাক্ষীও আছেন। আর পৃথিবীর এমন কোনো দেশ নেই, যেখানে ধর্ষণ হয় না। কিন্তু দেখতে হবে অভিযুক্তরা আইনের আওতায় আসছে কি না। সব কটি ঘটনায় অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।