ব্যস্ত সড়কের মধ্যে বৈদ্যুতিক খুঁটি

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা-ফুলবাড়িয়া আঞ্চলিক সড়কে ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক খুঁটি। সম্প্রতি তোলা।  প্রথম আলো
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা-ফুলবাড়িয়া আঞ্চলিক সড়কে ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক খুঁটি। সম্প্রতি তোলা। প্রথম আলো

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা-ফুলবাড়িয়া আঞ্চলিক সড়কের পাথারপাড়া অংশের প্রশস্তকরণের কাজ তিন মাসেরও বেশি আগে শেষ হয়েছে। তবে সড়কটির মাঝের বৈদ্যুতিক খুঁটি এখনো সরানো হয়নি। তাই এই অংশে পিচ ঢালা যায়নি।

শ্রীপুর ও কালিয়াকৈর উপজেলার যোগাযোগের একমাত্র সড়কের ওপর বিপজ্জনকভাবে দাঁড়িয়ে খুঁটিটি। এটি যেকোনো সময় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে বলে জানিয়েছেন গাড়ির চালকেরা।

গত শুক্রবার মাওনা পাথারপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বৈদ্যুতিক খুঁটিটি ঝুঁকিপূর্ণভাবে দাঁড়িয়ে আছে। সড়ক ও জনপথের (সওজ) তৈরি সড়কের কালভার্টটির এক পাশে অন্তত ৩ ফুট ভেতরে খুঁটিটির অবস্থান। এই সড়ক হয়ে শ্রীপুর থেকে পাশের কালিয়াকৈর উপজেলায় যাতায়াত করা ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, যাত্রীবাহী বাস, অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহনকে খুঁটির এখানে এসে খুব সতর্কতার সঙ্গে চলতে হয়। এতে যানবাহনের গতি মন্থর হয়ে যায়। কালভার্টের দুই পাশে ২২০ মিটার সংযোগ সড়কটিতে সুরকি থাকায় সারাক্ষণ ধুলা উড়ছে।

সেখানে দায়িত্বরত প্রকৌশলী প্রহল্লাদ কুমার বলেন, ‘খুঁটিটির জন্য প্রায় ২২ দিন ধরে কালভার্টের সংযোগ সড়কের পিচের কাজ করা যাচ্ছে না। আমরা সওজের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এটি সরিয়ে দিলে অবশিষ্ট কাজ শুরু করা হবে।’ তিনি বলেন, এখানে এসে গাড়িগুলোকে সতর্কতার সঙ্গে চলতে হয়। তবে অসাবধানতাবশত যেকোনো সময় খুঁটিতে গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।

যাত্রীবাহী বাসের চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, এই সড়কে রাতে চলাচলে বেশি সমস্যায় পড়তে হয়। আলোস্বল্পতায় অনেক সময় খুঁটিটি দেখা যায় না। অটোরিকশার চালক আবদুল মান্নান বলেন, কালভার্ট থেকে নামার সময় এই খুঁটি হঠাৎ সামনে এসে পড়ে। তখন কোনোরকমে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করে খুঁটিটিকে পাশ কাটিয়ে যেতে হয়। একই কথা বলেন অটোরিকশার চালক মোহাম্মদ মতিন। তাঁর দাবি, খুঁটিটি দ্রুত সরিয়ে গাড়ি চলাচল নিরাপদ করা হোক।

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথের গাজীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা খুঁটিটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভালুকা অফিসে যোগাযোগ করেছি। তাদের শর্ত অনুযায়ী খুঁটি সরানোর ব্যয় হিসেবে অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে। তারা বলেছে, ঈদের পর খুঁটি সরিয়ে দেবে। এরপর সড়কটির এই অংশের কাজ শুরু হবে।’