মাকে হত্যার পর তরুণীকে ধর্ষণ!

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নওগাঁর মান্দা উপজেলায় গতকাল সোমবার মাকে গলা কেটে হত্যার পর অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সামিউল ইসলাম ওরফে সাগর (২২) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রাতেই গৃহবধুর লাশ ও ধর্ষণের শিকার তরুণীকে উদ্ধার করে মান্দা থানা–পুলিশ। ওই তরুণী বর্তমানে নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

আটক সামিউল ইসলাম গৃহবধুকে হত্যার পর তাঁর মেয়েকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন বলে পুলিশের দাবি। আটক সামিউলের বাড়ি উপজেলার চকশ্যামরা গ্রামে।

আটক যুবক সামিউল ও ধর্ষণের শিকার তরুণীর বরাত দিয়ে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন বলেন, নিহত গৃহবধুর ছোট মেয়ে স্থানীয় কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। তাঁর সঙ্গে সামিউলের প্রেমের সর্ম্পক ছিল। সম্প্রতি সেই সর্ম্পকে টানাপোড়ন শুরু হয়। গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই তরুণীকে হত্যার উদ্দেশ্যে সামিউল একটি চাকু নিয়ে তাদের বাড়িতে যান। বাড়ির পেছনের দিক দিয়ে ছাদে উঠেন। ছাদের দরজা দিয়ে ওই তরুণীর বাড়িতে ঢোকেন। তরুণীর ঘরের দরজায় কড়া নাড়লে তিনি দরজা খোলেন। এ সময় দুজনের মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়। এ সময় তরুণীর মা জেগে উঠেন। সামিউল চাকু দিয়ে তরুণীর মায়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। এতে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাঁকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। পরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তরুণীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান সামিউল।

ওসি জানান, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। নওগাঁ সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে গৃহবধূর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ওই হাসপাতালেই ধর্ষণের শিকার তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

নিহত গৃহবধুর স্বামী নাটোর শহরে একটি ফার্মে নৈশপ্রহরীর কাজ করেন। তিনি বলেন, গতকাল রাতে তিনি কাজে ছিলেন। গভীর রাতে প্রতিবেশীদের ফোনে তিনি জানতে পারেন যে তাঁর স্ত্রী খুন হয়েছেন আর মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।