জয়পুরহাটের দুই কিশোরের লাশ মিলল নওগাঁয়

রিমন হোসেন ও জাকির হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
রিমন হোসেন ও জাকির হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

জয়পুরহাটের সদর উপজেলা থেকে নিখোঁজের ছয় দিন পর দুই কিশোরের অর্ধগলিত লাশ মিলল নওগাঁর ধামইরহাটে। আজ মঙ্গলবার সকালে ধামইরহাট উপজেলার ইসবপুর ইউনিয়নের একটি পাটখেত থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত দুই কিশোর রিমন হোসেন (১৬) ও জাকির হোসেন (১৫)। রিমন ও জাকির সম্পর্কে চাচাতো ভাই। তারা জয়পুরটা সদর উপজেলার পশ্চিম বিল্লাহ গ্রামের বাসিন্দা। রিমনের বাবা শহিদুল ইসলাম ও জাকিরের বাবা শহিদুলের ছোট ভাই জহুরুল ইসলাম।

নিহত কিশোরদের পরিবার ও ধামইরহাট থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত রিমনের বাবা শহিদুল ভাড়ায় ইজিবাইক (বিদ্যুৎ–চালিত রিকশা) চালান। বাবার ইজিবাইক রিমন মাঝেমধ্যে ভাড়ায় চালাত। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ইজিবাইক নিয়ে রিমন ও জাকির বাড়ি থেকে বের হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় জয়পুরহাট সদর উপজেলার মাছুয়া বাজার থেকে অপরিচিত কয়েকজন লোক ধামইরহাটের মঙ্গলবাড়ী বাজারের উদ্দেশ্যে তাদের ইজিবাইক ভাড়া করে। তবে ওই দিন অনেক রাতেও দুজন বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা তাদের খোঁজ শুরু করে। এ সময় রিমনের ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও দুজনকে ওই দিন পাওয়া যায়নি। এতে পরদিন শুক্রবার জয়পুরহাট সদর থানায় রিমনের মা রেহনুমা আক্তার একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর আজ মঙ্গলবার সকালে নওগাঁ ধামইরহাটের একটি পাটখেতে স্থানীয় এক ব্যক্তি অর্ধগলিত দুটি লাশ দেখতে পান। এরপর খবর পেয়ে আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ধামইরহাট থানা-পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

রিমনের মামা জাহিদুল ইসলাম বলেন, সম্ভবত ইজিবাইকটি ছিনতাই করার উদ্দেশ্যেই তাদের হত্যা করা হয়েছে।

ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকিরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে পুলিশেরও ধারণা, ইজিবাইক ছিনতাই করে ধরা পড়ার হাত থেকে বাঁচতে ওই দুই কিশোরকে হত্যা করেছে ছিনতাইকারীরা। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরে হত্যার ধরন সম্পর্কে জানা যাবে। সম্ভবত বৃহস্পতিবার রাতেই রিমন ও জাকিরকে হত্যা করা হয়।

ওসি জাকিরুল ইসলাম আরও বলেন, এ ঘটনায় ধামইরহাট থানায় রিমনের বাবা একটি মামলা করেছেন। নিহত দুই কিশোরের মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জয়পুরহাট সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মমিনুল হক বলেন, ধামইরহাট থানায় মামলা হলেও জয়পুরহাট থানা-পুলিশ এ মামলায় ধামইরহাট থানা–পুলিশকে সব রকম সহযোগিতা করবে।