রূপপুর প্রকল্পের বালিশ-কাণ্ডে সংসদীয় কমিটির অসন্তোষ

জাতীয় সংসদ ভবন। ফাইল ছবি
জাতীয় সংসদ ভবন। ফাইল ছবি

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে দুর্নীতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির সভায় এ সুপারিশ করা হয় বলে সংসদ সচিবালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বৈঠক সূত্র জানায়, রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে কেনাকাটায় দুর্নীতি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। কমিটির সদস্য হাবিবে মিল্লাত বিষয়টি আলোচনায় তোলেন। একটি বালিশের দাম ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা এবং তা ওঠানোর খরচ ৭৬০ টাকা কীভাবে হয়, সে প্রশ্ন রাখেন তিনি। পরে কমিটির সভাপতি আ ফ ম রুহুল হক এ বিষয়ে মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান ও মন্ত্রণালয়ের সচিব আনোয়ার হোসেনের কাছে ব্যাখ্যা চান।

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আবাসনের জন্য ২১টি ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মকর্তারা ওই সব ভবনে থাকবেন। এসব ভবন নির্মাণের কাজ করছে গণপূর্ত বিভাগ। তারা তাদের মতো করে কাজ করছে, বিজ্ঞান মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দিচ্ছে। তখন কমিটি প্রশ্ন রাখে, গণপূর্ত বিভাগ নিজেদের ইচ্ছামতো খরচ করবে আর বিজ্ঞান মন্ত্রণালয় কিছু করবে না বা তদারক করবে না? জবাবে বিজ্ঞান মন্ত্রণালয় বলেছে, এটি তদারক করতে হলে আলাদা প্রকৌশল বিভাগ প্রয়োজন হবে, সেটা নেই। তা ছাড়া পূর্ত বিভাগ সরকারি প্রতিষ্ঠান, এখানে তাদের কাজ সেভাবে তদারক করার সুযোগও নেই। এই কাজ তারা করছে, কোনো ধরনের অডিট আপত্তি এলে তার জবাবও পূর্ত বিভাগকে দিতে হবে।

সংসদীয় কমিটির প্রশ্নের মুখে বিজ্ঞান মন্ত্রণালয় জানায়, দুর্নীতিসংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর ঘটনা তদন্তে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া উচ্চ আদালতে একটি রিটও হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আ ফ ম রুহুল হকের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য ইকবালুর রহিম, হাবিবে মিল্লাত, মোজাফ্ফর হোসেন, শিরীন আহমেদ, সেলিমা আহমাদ ও হাবিবা রহমান খান বৈঠকে অংশ নেন। বিশেষ আমন্ত্রণে বৈঠকে যোগ দেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান।