ধর্ষণের ঘটনায় আহত শিশুটি বাঁচল না

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

আট বছরের ছোট্ট আছিয়ার কষ্টের যেন অবসান হলো! গত বছরের ৯ জুন টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ধর্ষণের শিকার হয় শিশুটি। আহত হয় গুরুতরভাবে। এরপর এক বছর ধরে তীব্র ব্যথাসহ নানা জটিলতায় ভুগছিল সে। তার দিনমজুর বাবা ঢাকায় থেকে নিজের সবটুকু দিয়ে মেয়ের চিকিৎসা করিয়েছিলেন। কাজ হয়নি। গতকাল সোমবার ভোররাতে ঢাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় মারা গেছে শিশুটি।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত কিশোরটি (১৫) এর মধ্যেই জামিন পেয়ে গেছে। মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত বছর কালিহাতী উপজেলার মালতী গ্রামে শিশুটিকে বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে প্রতিবেশী ওই কিশোর। এরপর আছিয়ার বাবা আশরাফ আলী ওই কিশোরকে আসামি করে কালিহাতী থানায় একটি মামলা করেন। এ ঘটনায় কিশোরটি গ্রেপ্তার হয়, আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পুলিশ তদন্ত শেষে গত বছরের ৩০ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে। মামলাটি এখন বিচারাধীন।

আছিয়ার নানা হযরত আলী জানান, ধর্ষণের পরে গুরুতর আহত আছিয়াকে প্রথমে এলেঙ্গার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ও পরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তার মলদ্বার ও যৌনাঙ্গ এক হয়ে গিয়েছিল। পরে তাকে ঢাকায় চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু এক বছরেও শিশুটি সুস্থ হয়নি। ব্যথায় খুবই কষ্ট পেত। চিকিৎসা করাতে আছিয়ার বাবা ও মা ঢাকায় চলে যান। সেখানে দিনমজুরি করে তাঁরা মেয়ের চিকিৎসা করান। গত সোমবার ভোররাতে আছিয়া ব্যথায় ছটফট করতে থাকে। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যায় সে।

সোমবার দুপুরে মালতী গ্রামে আছিয়ার লাশ আনা হলে শিশুটিকে একনজর দেখার জন্য আশপাশের গ্রামের শত শত মানুষ ছুটে আসেন। সেখানে এক হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। তাঁরা ধর্ষণের ঘটনার বিচার দাবি করেন।

কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন বলেন, মামলাটির তদন্ত শেষ করেছে পুলিশ। শিশুটির মৃত্যুর বিষয়টি আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতকে জানানো হবে।