এক এসআইয়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চায় পুলিশ

ইয়াবা বড়ি। ফাইল ছবি
ইয়াবা বড়ি। ফাইল ছবি

ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার এক পুলিশ সদস্য জানিয়েছেন ইয়াবাগুলো চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশের টিএসআই বাবলু খন্দকারের। এরপর থেকে পলাতক রয়েছেন তিনি। পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও তাঁর হদিস পায়নি পুলিশ। এই অবস্থায় বাবলু যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন সীমান্ত ও বিমানবন্দর এলাকায় সতর্কতার জন্য পুলিশ সদর দপ্তরকে চিঠি দিয়েছে পুলিশ।

গত শুক্রবার রাতে নগরের ডবলমুরিং থানার সিজিএস কলোনি এলাকায় গোপন তথে৵র ভিত্তিতে টিএসআই ছিদ্দিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও র‍্যাব। ওই সময় তাঁর কাছ থেকে ইয়াবা বিক্রির ৮০ হাজার টাকা ও ১০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার টিএসআই বাবলু খন্দকারের কাছ থেকে ইয়াবাগুলো নিয়েছেন। এই ঘটনায় ছিদ্দিকুর, বাবলু ও অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করা হয় ডবলমুরিং থানায়। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম ইউনিট চট্টগ্রামের উপপরিদর্শক (এসআই) রাছিব খান গ্রেপ্তার ছিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন আদালতে গত রোববার। এতে বলা হয়, ইয়াবা সরবরাহকারী অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে শনাক্ত, ইয়াবা ব্যবসায় পুলিশের আরও সদস্য জড়িত আছে কি না এসব বিষয় বের করা আবশ্যক। বর্তমানে ছিদ্দিকুরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম ইউনিট চট্টগ্রামের উপপরিদর্শক (এসআই) রাছিব খান প্রথম আলোকে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে পলাতক বাবলু সম্পর্কে তথ্য জানার চেষ্টা চলছে।

কাউন্টার টেররিজম ইউনিট চট্টগ্রামের উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানান, পলাতক বাবলু খন্দকারকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। তিনি যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ সদর দপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে।