ফরিদপুরে জোড়া খুনে ১৩ জনের যাবজ্জীবন

ফরিদপুরে জোড়া খুনের মামলায় ১৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায়ের পর আসামিদের আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। ছবি: প্রথম আলো
ফরিদপুরে জোড়া খুনের মামলায় ১৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায়ের পর আসামিদের আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। ছবি: প্রথম আলো

ফরিদপুরে জোড়া খুনের মামলা ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. মতিয়ার রহমান এ আদেশ দেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মান্নান খা, সুরমান খা, মাজেদ খা, ওয়াজেদ খা, রাশেদ খা, সিদ্দিক ফকির, সোহরাব ফকির, আফসার ফকির, ফজলু ফকির, রহমান খা, রেজাউল খা, জিগির খা ও ওসমান ফকির।

রায় ঘোষণার সময় ১৩ আসামির মধ্যে ১১ জন আদালতে হাজির ছিলেন। এ ছাড়া রায় ঘোষণার পর আফসার ফকির নামের আসামি এজলাস থেকে কারাগারে নেওয়ার পথে পুলিশের হাত থেকে কৌশলে পালিয়ে যান।

ফরিদপুরের বিশেষ জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) গোলাম রব্বানী বাবু মৃধা বলেন, ২০০৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সালথা উপজেলার চাঁদপুর গ্রামে পেঁয়াজের জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সালিস বসে। সালিসে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে গঞ্জর খা ও মোসা মোল্লাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনায় নিহত গঞ্জর খার ভায়রা আলাল মিয়া বাদী হয়ে সালথা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ২৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। বিচারকাজ চলাকালে দুই আসামির মৃত্যু হওয়ায় তাদের এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। বাকি ২৫ জনের মধ্যে আদালত ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন। বাকি ১২ জনকে খালাস দেওয়া হয়।

পুলিশ হেফাজত থেকে এক আসামির পালিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এফএম নাসিম বলেন, রায় ঘোষণার পর আসামিদের এজলাস থেকে কারাগারে নেওয়ার পথে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আট নম্বর আসামি আফসার ফকির কৌশলে পালিয়ে যান। তাঁকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।