আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি, যুবক গ্রেপ্তার

প্রতিকী ছবি
প্রতিকী ছবি

কলেজছাত্রীকে (২৪) ধর্ষণের পর ভিডিওচিত্র ধারণ ও ব্ল্যাকমেল করে ল্যাপটপসহ প্রায় দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তার আব্দুল হাই ওরফে রাজুর (২৬) বাড়ি কালীগঞ্জ উপজেলায়। ওই কলেজছাত্রী নিজেই থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক সালাহউদ্দিন আহমেদ অভিযান চালিয়ে রাজুকে গ্রেপ্তার করেন।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই কলেজছাত্রীর এক বন্ধু ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। পাঁচ মাস আগে অসুস্থ বন্ধুকে দেখতে গেলে আব্দুল হাই ওরফে রাজুর সঙ্গে পরিচয় হয় ওই ছাত্রীর। পরে রাজু ওই ছাত্রীর মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। একপর্যায়ে ওই ছাত্রী ও রাজু তাঁদের অসুস্থ বন্ধুর চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অর্থ সাহায্য সংগ্রহ করে। এভাবেই তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ এপ্রিল ওই ছাত্রী ঢাকা থেকে বাসে করে বাড়ি আসছিলেন। এ সময় রাজু ওই ছাত্রীকে বাস থেকে নামিয়ে তাঁর এক বোনের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে হত্যার হুমকি দিয়ে রাজু ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। মোবাইল ফোনে এর ভিডিও ধারণ করেছিলেন রাজু। পরে ওই ছাত্রী বাড়িতে আসার পর রাজু তাঁকে মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়ে বলেন, এ ব্যাপারে কাউকে কিছু বললে ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়া হবে। মানসম্মানের ভয়ে ওই ছাত্রী এসব ঘটনা জানাননি। পরে রাজু ওই ছাত্রীকে ব্ল্যাকমেল করে এ পর্যন্ত এক লাখ ৭০ হাজার টাকা ও একটি ল্যাপটপ হাতিয়ে নিয়েছেন। এরপর গত ২২ মে রাতে রাজু ওই ছাত্রীর কাছে আরও দুই লাখ টাকা দাবি করেন। পরে ওই ছাত্রী তাঁর পরিবারকে বিষয়টি জানান এবং গতকাল মঙ্গলবার থানায় এজাহার দায়ের করেন।

গ্রেপ্তার আব্দুল হাই ওরফে রাজু মঙ্গলবার কালীগঞ্জ থানায় জানান, ওই ছাত্রীর সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই ছাত্রীই তাঁকে ল্যাপটপটি দিয়েছিল। ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হওয়ায় এখন তাঁর বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

কালীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম আজিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। রাজুকে গ্রেপ্তার করে তাঁর কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে রাজু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।