গ্রেপ্তারের পর আসামি 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ লিপু হোসেন (৩২) নামের এক সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। ‘বন্দুকযুদ্ধের’ আগে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।

গতকাল বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে দাপা বালুর মাঠ এলাকায় কথিত এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান ও একটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। এই ঘটনায় ডিবির এক পরিদর্শকসহ তিনজন আহত হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

নিহত লিপুর বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পিলকুনি এলাকায়। বাবার নাম শামসুল হক।

লিপুর বিরুদ্ধে ডাকাতি, মাদক ব্যবসা, অবৈধ অস্ত্র ও বোমা রাখা, নারী নির্যাতনসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৩টির বেশি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক (ডিআই-২) সাজ্জাদ রোমন। তিনি আরও জানান, লিপু আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য ছিলেন। তিনি জেলা পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ছিলেন। তাঁকে ধরিয়ে দিতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।

পরিদর্শক সাজ্জাদ রোমন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় লিপুকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে মাদক ও অস্ত্রের তথ্য দেন তিনি। তাঁকে সঙ্গে নিয়ে ডিবি রাত আড়াইটার দিকে ফতুল্লার দাপা বালুর মাঠ এলাকায় অভিযানে যায়। এ সময় লিপুর সহযোগীরা তাঁকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। গোলাগুলির একপর্যায়ে লিপুর সহযোগীরা তাঁকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় লিপু গুলিবিদ্ধ হয়। পরে ঘটনাস্থলে লিপুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। লিপুকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা।

পরিদর্শক সাজ্জাদ রোমন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। বন্দুকযুদ্ধের এই ঘটনায় ডিবির পরিদর্শক এনামুল হক, উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান ও কনস্টেবল নাদিম মিয়া আহত হন। তাঁদের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ময়নাতদন্তের জন্য লিপুর লাশ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।