কুষ্টিয়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাঁশগ্রাম ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে উপজেলার বাঁশগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বাঁশগ্রামের বাসিন্দা আলী হোসেন ও তারিক আজিজ টিক্কার সমর্থকদের বিরোধে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বাঁশগ্রামের বাসিন্দা নিহত আলী আজম মুন্সী (৪৫) সম্পর্কে তারিক আজিজের চাচা। তাঁর লাশ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। আহত ব্যক্তিদেরও একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, বাঁশগ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় বাঁশগ্রাম ডিগ্রি কলেজের ইংরেজি প্রভাষক আলী হোসেন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। একই এলাকার বাগুলাট ইউনিয়নের সাত নম্বর বাঁশগ্রাম ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তারিক আজিজও আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। স্থানীয় রাজনীতি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কয়েক বছর ধরে দুজনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে।

নিহত আলী আজমের জামাতা আয়ুব আলী প্রথম আলোকে বলেন, গ্রামের দুই ছেলেমেয়ের পালিয়ে বিয়ে করাকে কেন্দ্র করে আলী হোসেন ও তারিক আজিজের মধ্যে আবার বিরোধ দেখা দেয়। গতকাল বুধবার আলী হোসেন পক্ষের এক সমর্থককে তারিক আজিজের লোকজন ধাওয়া করেছিল। তারই জের ধরে আজ ভোরে আলী হোসেনের লোকজন পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। এ সময় তারা আলী আজম মুন্সীর মাথায় কোপ মারে। তাঁকে বাঁচাতে গেলে তারিক আজিজও গুরুতর আহত হন।

একপর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আলী আজমকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে আলী হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সপ্তাহখানেক ধরে তিনি এলাকায় থাকেন না। আজকের ঘটনার সময়ও তিনি ছিলেন না। কে বা কারা কী করেছে, তা তিনি জানেন না।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান বলেন, একজন মারা যাওয়ায় এলাকায় কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর হয়েছে। সেখানে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে। পুলিশ বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।