বাকিতে সিগারেট না দেওয়ায় ব্যবসায়ীর গায়ে গরম পানি ঢেলে দিল বখাটে

আগের পাওনা পরিশোধ না করেই চাওয়া হয়েছিল আরও ১০টি সিগারেট। তা-ও বাকিতে। না দেওয়ায় ব্যবসায়ীর মাথা ও শরীরে গরম পানি ঢেলে ঝলসে দিয়েছে এক বখাটে। গত মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের শরিফপুর আনু মার্কেট এলাকায়। এ ঘটনায় ওই ব্যবসায়ীর মাথা, মুখ ও শরীরের বেশির ভাগ অংশ ঝলসে গেছে। তবে এখনো পর্যন্ত অভিযুক্ত বখাটেকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

আহত ব্যবসায়ী হলেন ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার কৈরারচালা এলাকার ফজলুল হকের ছেলে কামাল হোসেন (৩৫)। তিনি গাজীপুরের কোনাপাড়া এলাকায় চা-সিগারেট বিক্রির ব্যবসা করেন।

আহত ব্যবসায়ীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় মিজানুর রহমান মির্জার বখাটে ছেলে মো. মনির হোসেন কামালের দোকান থেকে প্রায়ই বাকিতে চা-সিগারেট নিতেন। দোকানে ৩০০ টাকা বাকি রেখেছেন মনির। পাওনা টাকা চাইলেই ব্যবসায়ী কামালকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দিতেন মনির। গত মঙ্গলবার বিকেলে মনির হোসেন দোকানে এসে আবার বাকিতে ১০টি সিগারেট চান। এ সময় বাকিতে সিগারেট দিতে অস্বীকার করায় মনির হোসেন ক্ষুব্ধ হয়ে ব্যবসায়ী কামাল হোসেনকে গালাগাল দেন এবং বেধড়ক মারধর করেন। একপর্যায়ে দোকান থেকে চায়ের গরম কেটলি নিয়ে কামাল হোসেনের মাথায় গরম পানি ঢেলে দেন বখাটে মনির। এ সময় দোকান থেকে ৫০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যান মনির। এ সময় কামালের চিৎকারে এলাকাবাসী এসে তাঁকে উদ্ধার করেন। তাঁকে প্রথমে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। এ বিষয়ে গাজীপুরের গাছা থানায় কামালের স্ত্রী আকলিমা বেগম বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।

আকলিমা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, বখাটে মনির আগের ৩০০ টাকা পরিশোধ না করে ফের ১০টি সিগারেট বাকি চান। তাঁর স্বামী সিগারেট বাকিতে না দেওয়ায় মনির চায়ের গরম পানি তাঁর মাথায় ঢেলে দেন। এতে তাঁর মুখ ও শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে গেছে।

ঘটনার পর থেকে বখাটে মনির হোসেন পালাতক। গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। এ ঘটনায় গাছা থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।