নবজাতকটির ঠাঁই হলো সেফহোমে

নবজাতক ।  প্রতীকী ছবি
নবজাতক । প্রতীকী ছবি

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় ‘ধর্ষণের শিকার’ মানসিক প্রতিবন্ধীর জন্ম দেওয়া নবজাতকের ঠাঁই হলো ঢাকার একটি সেফহোমে। নবজাতকের পিতৃপরিচয় নেই। আর ফুটপাতে ঘুরে বেড়ানো ওই মা সন্তান পালনে সক্ষম নন। এসব বিবেচনায় আজ বৃহস্পতিবার নবজাতককে পাঠানো হলো নতুন ঠিকানায়।

উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় চার বছর ধরে মানসিক প্রতিবন্ধী এক নারীকে আরিচা নদীবন্দর এলাকার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াতে দেখেন স্থানীয়রা। গতকাল বুধবার ভোরে বন্দর এলাকায় ফুটপাতে প্রসবব্যথায় চিৎকার করছিলেন ওই নারী। এ সময় আশপাশে ঝাড়ু দিচ্ছিলেন জাহানারা বেগম নামের একজন। ওই নারীর চিৎকারে কাছে গিয়ে জাহানারা বিষয়টি বুঝতে পারেন। এরপর আশপাশের কয়েকজন নারীর সহযোগিতায় বন্দর এলাকাতেই ওই নারীকে প্রসবে সহায়তা করেন জাহানারা। সূর্য ওঠার পরপরই আরিচা এলাকার এক বাড়িতে ওই অন্তঃসত্ত্বা নারী ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। গুরুতর অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় সকালে স্থানীয় এক চিকিৎসককে ডেকে এনে মাকে স্যালাইন দেওয়া হয়। নবজাতককে দেখতে ভিড় জমান কয়েক শ নারী-পুরুষ।

খবর পেয়ে গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এএফএম ফিরোজ মাহমুদ ওই বাড়িতে যান। এরপর মানসিক প্রতিবন্ধী নারীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সূর্য ওঠার সময় জন্ম নেওয়ায় তিনি শিশুটির নাম রাখেন সূর্য। তাঁর ধারণা, ধর্ষণের কারণে মানসিক প্রতিবন্ধী ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। তবে ধর্ষণকারীর কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি।

ইউএনও ফিরোজ মাহমুদ বলেন, আজ বৃহস্পতিবার সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে শিশুটিকে ঢাকার একটি সেফহোমে পাঠানো হয়েছে। সূর্যকে দত্তক নিতে বেশ কয়েকজন নারী ও পুরুষ আগ্রহ দেখান। তাদের আইনি সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।