প্রশ্ন দেওয়ার নামে মোটা টাকা আদায়ে আটক ১

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন দেওয়ার নামে মোটা অঙ্কের টাকা আদায়ের ঘটনায় আলমগীর হোসেন (৩২) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। তাঁর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকার চেক উদ্ধার করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বগুড়া শহরের লতিফপুর মধ্যপাড়া থেকে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব-১২) বগুড়া স্পেশাল কোম্পানির সদস্যরা ওই ব্যক্তিকে আটক করেন।

আলমগীর হোসেন বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকার স্টার কোচিং সেন্টারের পরিচালক।

র‌্যাব বলছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ছিল আজ শুক্রবার। এই পরীক্ষা সামনে রেখে প্রশ্ন ফাঁসের প্রলোভন দিয়ে অর্থ লেনদেনে জড়িত প্রতারক চক্রের সন্ধান পায় র‌্যাব। র‌্যাবের গোয়েন্দা দলের কাছে তথ্য আসে, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার চাকরিপ্রত্যাশী এক প্রার্থীকে প্রশ্ন ফাঁসের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন দেওয়ার নাম করে আলমগীর হোসেন তাঁর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। এ তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহরের লতিফপুর মধ্যপাড়া এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।

র‌্যাব-১২ বগুড়ার স্পেশাল কোম্পানির অধিনায়ক মেজর এস এম মোর্শেদ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের নামে অর্থ আদায়ে প্রতারক চক্রের সঙ্গে একাধিক ব্যক্তি জড়িত বলে র‌্যাব তথ্য পেয়েছে। আলমগীরকে আটকের পর অন্য ব্যক্তিদের ধরতে মাঠে নেমেছে র‌্যাব। আলমগীরের বিরুদ্ধে বগুড়ার শাজাহানপুর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, এবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ছাপানো থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত পৌঁছানো পর্যন্ত নজিরবিহীন গোপনীয়তা এবং সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। এ কারণে কোনোভাবেই প্রশ্ন ফাঁস হওয়া সম্ভব নয়। প্রশাসনের কাজ প্রশ্ন ফাঁস ঠেকানো। এখন প্রশ্ন ফাঁসের প্রলোভন দিয়ে প্রতারক চক্র অর্থ লেনদেনে জড়িত থাকলে তা দেখার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর।