রাজশাহীতে গৃহবধূকে ধর্ষণের পর কুপিয়ে হত্যা!

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

রাজশাহীর মোহনপুরে আসমা বেগম (৪০) নামের এক গৃহবধূকে ধর্ষণের পর কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার সকালে উপজেলার একটি মাঠ থেকে পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করেছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহমেদ বলেন, আজ সকালে পদ্ম বিলে ছাগল চড়াতে গিয়ে দুই শিশু একটি লাশ দেখতে পায়। বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ গিয়ে দুপুরে লাশ উদ্ধার করে। লাশের পা, মাথা ও মুখে জখম আছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ধর্ষণের পর আসমাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তবে ডাক্তারি পরীক্ষার পর ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

আসমার স্বামী বাবুল ইসলামের দাবি, আসমা তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী। বিয়ের পর থেকে আসমা তাঁর বাবার বাড়িতেই থাকেন। তিনি সপ্তাহের দুই দিন সেখানে যান। গত বুধবারে তিনি শেষবারের মতো সেখানে গিয়েছিলেন।

আসমার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আসমার আগেও একবার বিয়ে হয়েছিল। তাঁর প্রথম পক্ষের একটি ছেলে আছে। ছেলে মায়ের সঙ্গেই থাকেন। ছেলে রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। ছেলে মাসুদ রানার ভাষ্য, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মায়ের কাছ থেকে খাবার খেয়ে তিনি বাইরে যান। সন্ধ্যায় ফিরে মাকে দেখতে পাননি। তিনি ভেবেছেন, মা হয়তো পাশের ঘরে আছে। পরে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। রাতে আর মায়ের খোঁজ করা হয়নি। সকালে মানুষের কাছ থেকে মায়ের মৃত্যুর খবর পান। মাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে তিনি এর বিচার চান।

পুলিশ জানিয়েছে, আসমার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসমার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা হবে।