ঢাকায় খুন করে বগুড়ায় দাফনের চেষ্টা, এক আসামি রিমান্ডে

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকায় এক গৃহবধূকে হত্যা করে বগুড়ায় লাশ নিয়ে গোপনে দাফনের চেষ্টা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত গৃহবধূর নাম ইতি আক্তার (২৭)। এই খুনের মামলায় গ্রেপ্তার এক আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দক্ষিণখান থানা-পুলিশ। আসামির নাম কাঞ্চন মিয়া ওরফে আজম (২৬)।

তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণখান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কবির হোসেন প্রথম আলোকে শনিবার বলেন, আদালতের অনুমতি নিয়ে আসামি কাঞ্চন মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। আগামীকাল তাঁকে ঢাকার আদালতে হাজির করা হবে।

ইতি আক্তার হত্যা মামলায় কাঞ্চন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে গত বৃহস্পতিবার ঢাকার আদালতে হাজির করে পুলিশ। দশ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করা হলে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ইতি আক্তারকে হত্যা করার অভিযোগে চারজনের নাম উল্লেখ করে গত ১৯ জুন দক্ষিণখান থানায় মামলা হয়। চার আসামি হলেন, ইতির স্বামী আবদুল কাদের শিপন, কাঞ্চন মিয়া, পারভিন ও আশরাফুল।

মামলার বাদী ইতির মা জাহানারা বেওয়া দাবি করেন, তাঁর মেয়ে এক ছেলে আর এক মেয়েকে নিয়ে দক্ষিণখান এলাকায় স্বামী আবদুল কাদের শিপন মন্ডলের সঙ্গে বসবাস করে আসছিলেন। গত ১১ মে সকাল ১০টায় তাঁর মেয়ে মুঠোফোনে কল দিয়ে তাঁকে জানায়, স্বামী শিপন পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েছেন। এ নিয়ে কথা বলায় ইতিকে মারধর করেছে আসামি শিপন। এরপর থেকে ইতির স্বামীর মুঠোফোন বন্ধ পান। ওই দিন রাতে শিপনের ধর্মভাই কাঞ্চন (আসামি) ফোন দিয়ে তাঁকে জানায়, শিপন ইতিকে মারধর করেছে। এরপর কাঞ্চনের মুঠোফোনও বন্ধ পান। পরদিন ১২ মে সকালে জানতে পারেন, ইতি মারা গেছেন। লাশ নিয়ে যাওয়া হয়েছে বগুড়ায় শিপনের গ্রামের বাড়িতে। সেখানে যাওয়ার পর শিপনের পরিবার ইতির লাশ দেখতে দেয়নি। দাফনের জন্য তোড়জোড় করতে থাকে।

তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণখান থানার এসআই কবির হোসেন বলেন, ইতির পরিবারকে লাশ দেখতে না দিলে তাঁরা পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে বগুড়ার সোনাতলা থানা-পুলিশ ইতির শ্বশুরবাড়িতে আসে। ইতির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে পাঠায়। সুরতহাল প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইতির দেহে আঘাতের নানা চিহ্ন রয়েছে। ইতিকে হত্যা করা হয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তা কবির হোসেন আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানতে পারেন, গৃহবধূ ইতি আক্তার মারা গেলেও তাঁর পরিবারকে কিছুই না জানিয়ে লাশ দাফনের চেষ্টা করে আসামিরা। ঘটনার পর থেকে প্রধান আসামি ইতির স্বামী শিপন পলাতক রয়েছে। শিপনসহ পলাতক তিন আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।