গফরগাঁওয়ে হত্যা মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি

হত্যা মামলা তুলে নিতে আসামিপক্ষ হুমকি দিচ্ছে এমন অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মামলার বাদী। গফরগাঁও, ময়নমনসিংহ, ২২ জুন। ছবি: সংগৃহীত
হত্যা মামলা তুলে নিতে আসামিপক্ষ হুমকি দিচ্ছে এমন অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মামলার বাদী। গফরগাঁও, ময়নমনসিংহ, ২২ জুন। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার উস্থি ইউনিয়নের যুবক মো. আলমগীর হত্যার ঘটনায় আসামিরা মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে পুলিশ আসামিদের পক্ষে কাজ করছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে আজ শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন আলমগীরের মা ও হত্যার মামলার বাদী আমেনা খাতুন।

সংবাদ সম্মেলনে আমেন খাতুন বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী একজন ব্যক্তি আলমগীরকে নিজের সঙ্গে কাজ করার জন্য বলতেন। তবে ওই ব্যক্তি ও তাঁর সঙ্গের লোকেরা বিভিন্ন অন্যায় ও অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত। এ কারণে আলমগীর ওই দলে যেতে চাননি। এরই জেরে আলমগীরকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

আমেনা বলেন, ‘আমার চোখের সামনে হত্যাকারীরা আলমগীরকে কুপিয়ে জখম করে ফেলে রাখে। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে কোন কোন ব্যক্তি তাঁকে মেরেছে, তা নিজেও বলেছেন। হাসপাতালে নেওয়ার পথেই আলমগীর মারা যান।’

সংবাদ সম্মেলনে আমেনা আরও বলেন, হত্যার পর মামলা করতে থানায় গেলে পুলিশ প্রথমে মামলা নিতে চায়নি। পুলিশ কয়েকজন আসামির নাম বাদ দিতে বলে। এ কারণে হত্যার সঙ্গে জড়িত একাধিক ব্যক্তির নাম মামলায় নেই। মামলার সাতজন আসামি কারাগারে আছেন। বাইরে থাকা তিনজন আসামি প্রতিনিয়ত মামলা তুলে নিতে নানা হুমকি দিচ্ছেন। পুলিশ ওই তিনজনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষ করে চলেছে। এ কারণে মামলাটি পাগলা থানাকে বাদ দিয়ে পুলিশের অন্য কোনো সংস্থা দিয়ে তদন্ত করানোর আহ্বান জানান আমেনা খাতুন।

আমেনা বলেন, এর আগে একবার এ দাবি নিয়ে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপারের কাছে যান। পুলিশ সুপার মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের মাধ্যমে তদন্ত করানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন। তবে এখনো পর্যন্ত মামলাটি পাগলা থানা-পুলিশ তদন্ত করছে।

এ বিষয়ে পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফায়জুর রহমান বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সঠিক নয়। পুলিশ ইতিমধ্যে মামলার তদন্ত শেষ করেছে। দ্রুতই অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ৮ মে সকালে প্রকাশ্যে দিবালোকে ভুষাবাড়ি এলাকার একটি চায়ের দোকানে কুপিয়ে হত্যা করা হয় আলমগীরকে (৪০)। আলমগীর গফরগাঁও উপজেলার উস্থি ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য ছিলেন। আলমগীর হত্যার ঘটনায় তাঁর মা আমেনা বেগম বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামি করে উপজেলার পাগলা থানায় মামলা করেন। মামলার সাত আসামি বর্তমানে কারাগারে আছেন। একজন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।